ঋষাভ পান্ত, সাঞ্জু স্যামসনরা আছেন দারুণ ছন্দে; ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলমান আসরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই উইকেটকিপার ব্যাটারের ভূমিকায় বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন দু’জনে। ফলে লোকেশ রাহুলের নামটা আড়ালেই চলে গিয়েছে।
অথচ রান করার ক্ষেত্রে কোন অংশে পিছিয়ে নেই তিনি; অধিনায়ক হিসেবে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তাই তো তুলনামূলক খর্ব শক্তির ব্যাটিং লাইনআপে তাঁর ওপরেই খানিকটা ভরসা করতে পারেন সমর্থেকরা।
অন্য অনেকবারের মত রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে বিপদের মুখে দলের হাল ধরেছেন এই ব্যাটার, আরো একবার দিয়েছেন ভরসার প্রতিদান। ৪৮ বলে ৭৬ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস তিনি। দীপক হুদা ছাড়া ব্যাটিং লাইনআপের সবাই ব্যর্থ হয়েছেন, তবু দলীয় সংগ্রহ প্রায় দুইশত হয়েছে সেটার কারণ তাঁর এমন ব্যাটিং। প্রাপ্য কৃতিত্ব তাই দিতেই হয় তাঁকে।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে প্রথমেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল লখনৌ। বাধ্য হয়ে রক্ষণশীল হতে হয়েছে রাহুলকে; তবে খোলস ছেড়ে বেরুতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেননি। আভেশ খানের এক ওভার থেকে ২০ রান আদায় করেন তিনি, এরই মধ্য দিয়ে ৩১ বলে ছুঁয়ে ফেলেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি।
এরপর রানের গতি বাড়াতে চেয়েছিলেন এই ডানহাতি, কিন্তু নিয়মিত উইকেটের পতন তাঁকে হাত খোলার সুযোগটুকু দেয়নি। তবে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে না পারলেও তিনি যা করেছেন সেটা একেবারে ফেলনা নয়; অন্তত ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিন তাঁর বদৌলতেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে ম্যাট হেনরি, মহসিন খানরা।
অবশ্য এতকিছুর পরেও বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া প্রায় অসম্ভব এই তারকার জন্য। টপ অর্ডারে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এমনকি যশস্বী জয়সওয়ালও নিশ্চিত বলা চলে। অন্যদিকে বাঁ-হাতি হওয়ায় পান্ত অগ্রাধিকার পাবেন উইকেটকিপার হিসেবে। আপাতত তাই ভাগ্যের আশায় থেকেই নিজের সেরাটা দিতে হবে তাঁকে।