মেহেদী মারুফকে বাংলাদেশ চিনতো মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ডাইনামাইটসের মত দলের ওপেনিং করেছেন। গত বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতেও ভালো খেলেছেন। কিন্তু এর পরও দল পাননি গত বিপিএলে। এবার আবার ঢাকা লিগে চেনাচ্ছেন নিজেকে। সেই সাথে যেনো প্রশ্ন তুলছেন, তিনি কেনো হারিয়ে যাবেন?
টাঙ্গাইলের ছেলে মেহেদী মারুফ উঠে এসেছেন মূলত অনুর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট থেকে। এই স্তরে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। তার ব্যাচের সাকিব আল হাসানরা দেশের ক্রিকেটের কিংবদন্তী হয়ে গেছেন। খোদ সাকিবেরই সমবয়সী এই মারুফ। কিন্তু মারুফ এখনও পায়ের তলে মাটি খুজে বেড়াচ্ছেন।
২০১৬ বিপিএলে বেশ নজর কেড়েছিলেন মারুফ। সেবার ১৩৫.৫৪ স্ট্রাইক রেটে ৩৪৭ রান করেছিলেন। ফলে তাকে নিয়ে একটা হইচইও শুরু হয়েছিল। পরের দুই বিপিএলে অবশ্য সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি।
তবে সর্বশেষ ঢাকা লিগের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ভালোই করেছিলেন। শেষ ম্যাচেও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ৬৩ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তারপরও এবারের বিপিএলে দল পাননি তিনি।
কেন তিনি দল পাননি?
এই প্রশ্নের উত্তর মেহেদী মারুফের কাছেও নেই। তিনি নিরুত্তাপ হয়ে ভাবেন, কেউ নেয়নি, তাই দল পাইনি। তবে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে এতোটা শান্ত আর থাকতে পারেন না মারুফ। একটু অস্থির হয়ে ওঠেন। তিনি বুঝে উঠতে পারেন না, কেনো রান করেও দল না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয়।
তবে মারুফ এ নিয়ে বেশি ভাবতে চান না। তিনি হাতের কাছে যে ক্রিকেট আছে, তাতেই মন দিতে চান। আর সে কাজটা যে খারাপ করছেন না, সেটা বলে দেওয়া যায়। সর্বশেষ প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ১৪০ বলে ১১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন।
এটাই মারুফের এবার একমাত্র বড় ইনিংস নয়। এর আগে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে অপরাহিত ৯০ রানের ইনিংস খেলেছেন। সবমিলিয়ে এবার আসরে এখন পর্যন্ত ৪১.৮৫ গড়ে ২৯৩ রান করে ফেলেছেন। এখনও সামনে এগোনোর অনেক সুযোগ আছে।
তবে মারুফ সুযোগ নিয়ে খুব ভাবতে চান না। তিনি চান কেবলই পারফরম করে যেতে। পারফরম্যান্সের পুরষ্কার নিয়ে আর ভাবেন না। কিন্তু মারুফের এই পারফরম্যান্স কী সবার জন্য একটা জবাব হয়ে ওঠে না?
নাকি একটা প্রশ্ন তুলে দেয় যে, কেনো আমাদের ঘরোয়া পারফরমাররা এতোটা উপেক্ষিত? কেনো আমরা নিজেদের তারকাদের চিনে উঠতে পারি না।