Social Media

Light
Dark

বৈচিত্র্যময় বিশ্বকাপের বিচিত্র সব ঘটনা

দীর্ঘ ১৭ বছর পর ভারতের হাতে শিরোপার মাধ্যমে শেষ হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪। বেশ ঘটনা বহুল ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই আসর। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে আফগানিস্তানের সেমিফাইনাল খেলা সব কিছুই ছিল স্বরণীয়।

ads

বিশ্বকাপে বড় পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে  এসেছিল পাকিস্তান। ২০২৪ সালে অন্যান্য সকল দলের থেকে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল পাকিস্তান। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলা অভিজ্ঞ মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিমকেও অবসর থেকে দলে ফিরিয়েছিল তাঁরা। তবুও প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয় তাঁদের।

প্রতিবার শিরোপার দাবি নিয়ে আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রবেশ করেও হতাশ হয় ভারত। তবে এবার ১৩ বছর পর রোহিত শর্মার হাত ধরে বিশ্বকাপের ট্রফি নিজেদের করে নেয় তাঁরা। প্রথমাবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচটি খাদের কিনারা থেকে নিজেদের করে নিয়েছিল ভারত।

ads


নিজেদের মাটিতে অনুষ্ঠিত আসরে পাকিস্তানের মতো দলকে হারিয়ে সুপার এইটে পৌছেছিল যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলে সুপার এইট এবং অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রুপকথার কাব্য লিখে সেমিফাইনাল খেলেছে আফগানরা।

যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের আবহাওয়াও বিশ্বকাপে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বৃষ্টি থেকে শুরু করে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের বাতাস, প্রতিটি ম্যাচেই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের সাথে সাথে খেলোয়াড়দের বাতাস কোনদিকে প্রবাহিত হচ্ছে, ঝড় কতোটা শক্তিশালী এইসব বিষয়গুলোকেও নজরে রাখতে হয়েছিল।

বিশ্বকাপে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া ও আন্দ্রে রাসেল। তবে তাঁদেরকে ছাপিয়ে বিশ্বকাপের তারকা অলরাউন্ডার হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের সৌরভ নেত্রভালকার হয়ে থাকবেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর সেই সুপার ওভার হয়তো ক্রিকেট ভক্তদের কাছে ভুলে যাওয়ার মতো নয়। যদিও ব্যাট হাতে তিনি শুন্য রান করেছেন। তবে বাম হাতি এই সুইং বোলার যে খেলার পাশাপাশি পেশায় একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার।

গ্রুপ পর্যায়ে নিজেদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে বাড়ি পাঠানোর ভয় দেখিয়ে নেট রান রেট নিয়ে প্রকাশ্যে বেশ মজা করেছিল অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার জস হ্যাজেলউড। তবে সপ্তাহ না ঘুরতেই নিজেদের একই অবস্থানে খুজে পান অজিরা। সেমিফাইনাল খেলার জন্য অন্য দলের নেট রান রেটের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল তাঁদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link