নিজের ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে পৌছে গেছেন উরুগুয়েন স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ। তাই তো জাতীয় দলের প্রথম একাদশে নিয়মিত দেখা যায়না তাঁকে।
তবে, এই বুড়ো হাড়ে ভর করেই কোপা আমেরিকায় তৃতীয় স্থান নির্ধারণকারী ম্যাচে জয় পেয়েছে উরুগুয়ে। অতিরিক্ত সময়ে সুয়ারেজের করা গোলেই সমতায় ফেরে তাঁরা। এরপরে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যাবধানে কানাডাকে হারিয়ে নিজেদের কোপা আমেরিকা মিশন শেষ করে উরুগুয়ে।
শেষ সময় থেকে আর মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধান। ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা কানাডা আর মাত্র কিছুক্ষণ খেলা ধরে রাখতে পারলেই কোপা আমেরিকায় তৃতীয় স্থান অর্জন করতে পারতেন। তবে তাঁদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান সাবেক বার্সেলোনার তারকা স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ। ৯২ মিনিটে তাঁর করা গোলেই স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলেন উরুগুয়ের ভক্তরা।
চলতি আসরে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল উরুগুয়ে। আর্জেন্টিনার সাথে শিরোপা জয়ের অন্যতম দাবিদার ছিল মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা। তবে পুরো টুর্নামেন্টে দূর্দান্ত খেলা উরুগুয়ের ছন্দপতন ঘটে সেমিফাইনালে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ও একমাত্র হারের স্বাদ পায় তাঁরা।
কানাডার বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও দুর্দান্ত শুরু করে উরুগুয়ে। ম্যাচের মাত্র ৮ মিনিটেই রদ্রিগো বেন্টাঙ্কুরের গোলে এগিয়ে যায় তাঁরা। তবে তারপরেই ছন্দপতন ঘটে উরুগুয়ের। কানাডা মাঠে তাঁদের সেরা খেলা খেলতে থাকে। যার ফলস্বরূপ ২২ মিনিটে সমতায় ফেরে আলফান্সো ডেভিসরা। একটি দুর্দান্ত ওভারহেড কিকে গোল করেন ইসমাইল কোন।
এর ঠিক পরের মিনিটেই অফ সাইডের জন্য উরুগুয়ের একটি গোল বাতিল করেন রেফারি৷ অন্যদিকে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে কানাডা। এমন অবস্থায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লুইস সুয়ারেজকে মাঠে নামায় বিয়েলসা। তবে ৮০ মিনিটে জনাথন ডেভিডের গোলের সুবাদে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যায় কানাডা।
তবে ম্যাচের শেষ সময়ে দলের ত্রাতা হয়ে গোল করেন লুইজ সুয়ারেজ। ফলে ২-২ সমতাতেই শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিট। কোপা আমেরিকায় ৯০ মিনিটে খেলা শেষ না হলে তা অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে না গড়িয়ে সরাসরি টাইব্রেকারে চলে যায়।
যেখানে ইসমাইল কোন, যিনি ম্যাচে দুর্দান্ত একটি গোল করেছিলেন এবং কানাডার তারকা আলফান্সো ডেভিস, স্পট কিক থেকে জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন। অপরদিকে উরুগুয়ের হয়ে ভালভার্দে, বেন্টাঙ্কুর, আরাসকেটা এবং সুয়ারেজ টাইব্রেকারে গোল করলে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে যায় তাঁরা। ফলে তৃতীয় স্থানেই নিজেদের কোপা মিশন শেষ করে সুয়ারেজরা।