সুফিয়ান মুকিম, পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন কুঁড়ি

নয় ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এই বাঁ-হাতি নিয়েছেন ষোল উইকেট, ইকোনমি ছয়ের একটু বেশি আর স্ট্রাইক রেট ১১.৬২। পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে সুযোগ পাওয়াটা তাই প্রাপ্য ছিল তাঁর। আর সুযোগ পেয়ে একেবারে বাজিমাত করলেন তিনি, একাই তুলে নিলেন প্রোটিয়াদের চার উইকেট।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলটা করবেন সুফিয়ান মুকিম, এইডেন মার্করাম বোধহয় বেশিই হালকা ভাবে নিয়েছিলেন তাঁকে। শর্ট পিচ ডেলিভারি পেয়ে তাই ধৈর্য ধরেননি আর, পুল শট খেলে ফেলেছন। ফলে যাওয়ার তাই হলো, টার্ন আর গতি বুঝতে না পারায় মার্করাম আটকা পড়লেন ডিপ মিড উইকেটে।

পেস স্বর্গ বনে যাওয়া পাকিস্তানে বিশ্বমানের স্পিনার খুঁজে পাওয়াই কঠিন। সেখানে ভিন্ন ধাঁচের কাউকে পাওয়া যাবে এমন ভাবনা ভাবাটাও বিলাসিতা। তবে সময় বোধহয় খানিকটা বদলেছে, হুট করে পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গনে স্পিনারদের আনাগোনা বেড়েছে। এই যেমন সুফিয়ান মুকিম – চায়নাম্যান।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে সুযোগ দেয়া তাঁকে, সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল হয়নি তাঁর। নিয়ম রক্ষার লড়াইয়ের ভাগ্যটা তিনি একাই গড়ে দিয়েছেন। কে বলবে ওয়ানডেতে এটাই তাঁর অভিষেক ম্যাচ!

নয় ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এই বাঁ-হাতি নিয়েছেন ষোল উইকেট, ইকোনমি ছয়ের একটু বেশি আর স্ট্রাইক রেট ১১.৬২। পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে সুযোগ পাওয়াটা তাই প্রাপ্য ছিল তাঁর। আর সুযোগ পেয়ে একেবারে বাজিমাত করলেন তিনি, একাই তুলে নিলেন প্রোটিয়াদের চার উইকেট।

মার্করামকে পরাস্ত করার গল্প তো আগেই বলা শেষ। পরের সময়টাতে সুফিয়ান একে একে ফিরিয়েছেন মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাদা এবং কেউইনা মাফাকাকে। তাতেই ৩-০ তে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের।

সেই সাথে এই তরুণ জিতে নিয়েছেন টিম ম্যানেজম্যান্টের আস্থা। আবরার আহমেদের পাশাপাশি দলটির স্পিন ভাণ্ডারে এখন যোগ হলো নতুন অস্ত্র। তাঁর সামনে এখন অক্লান্ত পরিশ্রমের বিকল্প নেই, তাহলেই কেবল ভুল ত্রুটি সামলে জাতীয় দলে নিজের জায়গাটা পাকা করতে পারবেন।

Share via
Copy link