এখনই মূল্যায়ন নয়

ব্যাটসম্যানদের দাপটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ নিষ্প্রাণ ড্র করেছে বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে রান উৎসব করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো শুরু করেছিলেন তামিম-মুমিনুল। তবে এক ইনিংস দেখেই সব কিছু মূল্যায়ন করতে চাননা শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। সুজন মনে করেন ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে ম্যাচ জিতবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক এবং হাফসেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। আর দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির সম্ভবনা তৈরি করেছিলেন তামিম ইকবাল। সবার পারফরম্যান্সে ম্যাচ ড্র হওয়ার পর খুশি হয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন এভাবে একটা ম্যাচ ড্র করার পর ম্যাচ জেতা শিখবে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ‘একটা ইনিংস দেখেও মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না। আমি বিশ্বাস করি, ব্যাটিংয়ের এই ধারাবাহিকতা আমরা ধরে রাখতে পারব। ছেলেরা এখান থেকে ভালো খেলবে। আরও একটা ম্যাচ আছে, এরপর জিম্বাবুয়ে যাব, ছেলেরা যেন ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে। আমরা যেন প্রপার টেস্ট টিম হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারি।’

দলের ম্যানেজার আরো বলেন, ‘এই ছেলেরা যদি গড়ে উঠতে পারে টেস্ট ম্যাচে। আমরা একটা বছর যদি ড্র করতে পারি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। ব্যাটসম্যানরা উপর থেকে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করে, তাহলে একটা সময় আসবে টেস্ট ম্যাচ জেতা শিখবো, ইনশাআল্লাহ। এই ধারাবাহিকতা খুব জরুরী।’

দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সুর বেঁধে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসে ৯০ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৭৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই ওপেনার। সুজন মনে করেন তামিমের প্রথম ইনিংসই সব সেট করে দিয়েছে। এরপর দায়িত্ব নিয়েছেন দলের পরের ব্যাটসম্যানরা। দলের ম্যানেজার তাই সন্তুষ্ঠ সবার পারফরম্যান্সেই।

তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমরা যেভাবে ব্যাট করেছি তাতে আমি অনেক খুশি। তামিমের দুইটা ইনিংসই অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসের নকটা আমাদের পুরো সেট করে দিয়েছে। আমি খুশি যে শান্ত চাপের মুখে নিজকে যেভাবে মেলে ধরেছে। একদম ব্রিলিয়ান্ট। মুমিনুলের একটা ব্যাপার ছিল দেশের বাইরে রান করতে পারে না। সেও দারুণ ব্যাটিং করেছে। মুশফিক-লিটনও দলকে ভালো সাপোর্ট দিয়েছে।’

গতির সাথে বাউন্স এবং আগ্রাসন মিলিয়ে পুরো ইনিংসেই দুর্দান্ত বল করেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৩০ ওভার বল করে ১১২ রান দিয়ে এই পেসার শিকার করেছেন ৩ উইকেট। এমন গরমেও পুরো এফোর্ট দেওয়ায় তাসকিনের বোলিংয়ে খুশি খালেদ মাহমুদ সুজন।

তিনি বলেন, ‘আমি খুশি তাসকিনের বোলিংয়ে। একটা পেসে বল করেছে। জোড়ে বল করার চেস্টা করেছে। এফোর্ট দিয়েছে। এই গরমে এতো সহজ ছিল না। তাসকিন প্রায় ৩০ ওভারের মতো বল করেছে। গ্রেট এফোর্ট। আমি বলবো যে, ৩০ ওভার তাসকিন পুরো এফোর্ট দিয়ে বল করেছে।’

দেশের মাটিতে খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট সিরিজে হোয়াটওয়াশ হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াটওয়াশ হয়ে বিপর্যস্ত ছিল বাংলাদেশ দল। সুজন জানিয়েছেন দল যে চাপে ছিলো তাতে ড্র হওয়াতেও খুশি সবাই।

তিনি বলেন, ‘আমরা যে ভাবে চাপে ছিলাম। দেশে ও দেশের বাইরে সিরিজে ভালো করতে পারিনি। এই টেস্ট ম্যাচে কত টুকু ভালো করবো সবার একটা প্রশ্ন ছিলো। আমি খুশি যে এখানে আসার পর থেকে অনুশীলন, প্রস্তুতি ম্যাচ ও টেস্টের শুরু থেকে যে ভাবে এফোর্ট দিয়েছে। মাঠের সব কিছু দেখে আমি খুশি। তবে আমরা এর থেকে বেটার করতে পারি। আমাদের সময় দিতে হবে। আমার বিশ্বাস টিমটা ভালো পজিশনে যাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link