কিছুদিনের অফফর্মে চারদিক থেকে সমালোচনা কম হয়নি সুরিয়ার। তবে তিনি কেন টি-টোয়েন্টির এই মুহূর্তের সেরা ব্যাটার তা আরো একবার জানান দিলেন। সুরিয়া যেন ছন্দে থাকেন সেদিন ২০০ রানের টার্গেটকেও কতটা ছোট মনে হতে পারে তা বোঝা গেলো এদিন। সুরিয়ার তান্ডবে ছয় উইকেটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
মুম্বাইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই কোহলির উইকেট হারায় ব্যাঙ্গালুরু। অজি পেসার বেরেনেডর্ফ প্রথম ওভারে কোহলিকে ফেরানোর পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে তুলে নেন অনুজ রাওয়াতকেও। ১৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে থাকা ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ১২০ রানের পার্টনারশিপে।
টুর্নামেন্ট জুড়েই অপ্রতিরোধ্য ডু প্লেসি এ ম্যাচেও তুলে নেন আরেকটি অর্ধশতক। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ডু প্লেসিস আউট হবার আগে ৪১ বলে তিন ছক্কা ও পাঁচ চারে করেন ৬৫ রান। অপর প্রান্তে আরো খুনে মেজাজে ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। ৩৩ বলে চার ছক্কা ও আটটি চারে ২০৬ স্ট্রাইকরেটে করেন ৬৮।
ম্যাক্সওয়েল আরো বিপদ বাড়ানোর আগে ১৩ তম ওভারে তাকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান বেরেনেডর্ফ। শেষদিকে দীনেশ কার্তিক ১৮ বলে ৩০ রান করলে ১৯৯ রানের সংগ্রহ পায় ব্যাঙ্গালুরু।
২০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাইকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ইষান কিষান। শ্রীলঙ্কান লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গার বলে আউট হবার আগে ২১ বলে সমান চারটি ছক্কা ও চারে ৪২ রান করেন ইষান। এরপর রোহিত শর্মা সাত রান করে হাসারাঙ্গার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।
তবে এরপর শুরু হয় সুরিয়াকুমারের তান্ডব। ব্যাঙ্গালুরু বোলাররা যেন লেন্থই খুঁজে পাচ্ছিলেন না সুরিয়ার সামনে। টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে চার ছক্কার পসরা সাজিয়ে বসেন সুরিয়া। সুরিয়ার তান্ডবেই ম্যাচ অনেকটা নিজেদের করে নেয় মুম্বাই। আউট হবার আগে ৩৫ বলে ছয়টি ছক্কা ও সাতটি চারে সুরিয়া করেন ৮৩ রান। সুরিয়া যখন আউট হন তখন মুম্বাইয়ের জয় প্রায় নিশ্চিত।
আরেক প্রান্তে নেহাল ওয়াধের ৩৪ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকলে ২১ বল হাতে রেখে ছয় উইকেটের সহজ জয় পায় মুম্বাই। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফের আশা আরো ফিঁকে হলো ব্যাঙ্গালুরুর।