শ্রেয়াস আইয়ারের নেতৃত্বে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে পাঞ্জাব কিংস, প্রথম ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে তাঁরা। তাই তো স্বপ্ন আরো চওড়া হয়েছে সমর্থকদের, আর এই স্বপ্ন যাত্রায় এক্স ফ্যাক্টর হতে পারেন নবাগত একজন – সুরিয়ানশ শেজ। ৩০ লক্ষ রুপির বিনিময়ে দলে জায়গা পাওয়া এই তরুণ বদলে দিতে পারেন পুরো টুর্নামেন্টের ভাগ্য।
গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে একাদশে থাকলেও কিছু করে দেখানোর সুযোগ পাননি তিনি, তবে জীবনের সেরা ছন্দে আছেন এ মুহূর্তে। টিম ম্যানেজম্যান্ট সেটার ফায়দা নিতে মুখিয়ে আছে। সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফির সবশেষ আসরে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৩১ রান; তবে রানের চেয়ে স্ট্রাইক রেট বেশি আলোড়ন তুলেছে, ২৫০ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন তিনি।
এই প্রতিভাবান বল হাতেও অবদান রাখতে জানেন, ১৩১ রান করার পাশাপাশি পেয়েছেন আট উইকেট। বলতে গেলে, তাঁর অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের সুবাদে মুম্বাইয়ের ট্রফি জয় একেবারে সহজ হয়ে গিয়েছে।
সুরিয়ানশের জন্য সবচেয়ে সব ব্যাপার, পাঞ্জাব কাপ্তান আইয়ার খেলেছিলেন একই দলে। সে কারণে তাঁর শক্তির জায়গা ভালোভাবে জানা আছে আইয়ারের। একদিকে যেমন ফিনিশারের ভূমিকায় শেষদিকে তান্ডব চালাতে পারবেন তিনি, তেমনি মাঝের ওভারে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারবেন।
গত মৌসুমে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের ডেরায় ছিলেন মুম্বাইয়ের এই উদীয়মান অলরাউন্ডার। তবে ম্যাচ খেলা হয়নি, লখনৌ তাঁর ওপর ভরসা করেনি। কিন্তু চলতি আসরের বাস্তবতা ভিন্ন, নিজেকে ইতোমধ্যে চিনিয়েছেন তিনি। পাঞ্জাব তাই লখনৌর মত ভুল করেনি, প্রথম ম্যাচেই একাদশে রেখেছিল তাঁকে।
নতুন হার্দিক পান্ডিয়ার আগমনী বার্তা শোনা যাচ্ছে – সুরিয়ানশ শেজের হার্দিক পান্ডিয়া হয়ে উঠার সবরকম সম্ভাবনাই রয়েছে। এখন কেবল সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেয়া বাকি।