তাইজুল ইসলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং অর্ডারে ক্ষতচিহ্ন এঁকে দিয়েছেন নিজ হাতে। ক্যারিবিয়ানদের ধরাশায়ী করবার কাব্য লিখেছেন তিনি। আটজন পেসার বোলিং করেছেন স্যাবাইনা পার্কের উইকেটে। স্বাভাবিকভাবেই উইকেটের উপর ক্ষত তৈরি হয়েছিল। সেই ক্ষতের পূর্ণ ফায়দা তুলেছেন তাইজুল ইসলাম।
যে ভুলটা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেই ভুল অন্তত বাংলাদেশ করেনি। দলে অন্তত একজন ফ্রন্টলাইন স্পিনার থাকা প্রয়োজন। চতুর্থ ইনিংসে স্পিনাররা করতে পারেন বাজিমাত। সেটাই আরেকবার প্রমাণ করে দিলেন তাইজুল ইসলাম। দেখিয়ে দিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
নাহিদ রানার তাণ্ডবের পর ব্যাটারদের কার্যকর সব ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ২৮৭ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেয় টাইগাররা। জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে ২১২ রান তাড়া করে জয় পাওয়ার রেকর্ডই সর্বোচ্চ। তাইতো আত্মবিশ্বাস ছিল জয় পাওয়ার। এবড়ো-থেবড়ো উইকেটে বাংলাদেশের জয়ের রাস্তাটা মসৃণ করেছেন তাইজুল।
রেডচেরি হাতে বরাবরই ভয়ংকর তাইজুল ইসলাম। চলতি বছরে চতুর্থ ইনিংসে তিনি যেন হয়ে উঠেছেন আরও বেশি দুর্ধর্ষ। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে পেসারদের দাপট ছাপিয়ে স্বমহীমায় রাজত্ব করলেন তাইজুল। ক্যারিয়ারের ১৫ তম ফাইফার তুলে নিয়েছেন তিনি।
ক্যারিবিয়ানদের যতটুকু শক্তি ছিল ব্যাটিং অর্ডারে, তার সবটুকুই বোতল বন্দী করেছেন বা-হাতি এই স্পিনার। বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হওয়া ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট কিংবা অর্ধশত রান করা কেভন হজের উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। ক্যারিবিয়ান যে ব্যাটারই একটু ভয়ংকর হতে চেয়েছেন, তাকেই প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন এই মুহূর্তের বাংলাদেশের সেরা বা-হাতি স্পিনার।
তার অনবদ্য পারফরমেন্সের কল্যাণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে টাইগাররা। তাতে করে ১-১ সমতায় টেস্ট সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ। উইকেট একটু পক্ষে এলেই তাইজুল হয়ে ওঠেন ভয়ংকর, নিজস্ব নৈপুন্যে বাংলাদেশকে এনে দিলেন আরও একটি অবিস্মরণীয় জয়।