আবারও টেস্ট ফিরছে সিলেটে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ম্যাচের এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ দল আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের নতুন চক্রে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। অবশ্য এই নতুন শুরুতে দলে নেই সাকিব, তামিমের মতো অভিজ্ঞরা। তাসকিন, এবাদত, লিটনরাও রয়েছেন মাঠের বাইরে। সব মিলিয়ে আসন্ন সিরিজে তরুণ ক্রিকেটারদের উপরেই থাকছে সব দৃষ্টি।
সে যাত্রায় বাংলাদেশের এই স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছিল লেফ আর্ম অর্থোডক্স স্পিনার হাসান মুরাদ। ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত এ স্পিনারের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পরিসংখ্যান এক কথায় দুর্দান্ত। ২৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১৩০ উইকেট। তার চেয়েও বড় কথা, এই ২৬ ম্যাচেই ১২ বার ফাইফারের স্বাদ পেয়েছেন তরুণ এ স্পিনার।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, একাদশে হাসান মুরাদের জায়গা কি আদতে রয়েছে? দলে রয়েছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। টেস্ট ক্রিকেটে যার ঝুলিতে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭৭ টা উইকেট। তাছাড়া, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের যে ম্যাচ দিয়ে সিলেটে টেস্ট ক্রিকেটের পদচারণা হয়েছিল, সে ম্যাচে মোট ১১ টি উইকেট নিয়েছিলেন এ স্পিনার৷
৫ বছর বাদে, আবারো সেই সিলেটের মাটিতেই ফিরছে টেস্ট। যে মাঠে এক টেস্টের ২ ইনিংসেই ফাইফারের সুখস্মৃতি সঙ্গী হয়েছে তাইজুলের। কিউইদের বিপক্ষে তাঁকে আপাতত একাদশের বাইরে চিন্তা করাটাও যেন বোকার স্বর্গে বাস করা।
তবে হাসান মুরাদও রয়েছেন দারুণ ছন্দে। সর্বশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে এক ফাইফার সহ দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৯ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের একাদশে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে ভালভাবেই আছেন এ স্পিনার।
সিলেটের উইকেট তিন স্পিনার তত্ত্বে বাংলাদেশ একাদশ সাজালে কপাল খুলেও যেতে পারে হাসান মুরাদের। মিরাজ, তাইজুলের সাথে তৃতীয় স্পিনার হিসেবে ঢুকে যেতে পারেন একাদশে। অবশঢ় স্কোয়াডে রয়েছেন আরেক স্পিনার নাইম হাসান। বাংলাদেশের হয়ে যার আবার ৮ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সব মিলিয়ে নাইম, হাসান মুরাদের মাঝে কে খেলবেন, তা নির্ভর করছে অনেকটা টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনার উপর। পেস নির্ভর বোলিং লাইন আপ সাজালে বাদ পড়তে পারেন দুজনই। আবার স্পিন নির্ভর বোলিং আক্রমণের ভাবনা থাকলে এ দুই স্পিনারের মধ্য থেকে একজন ঢুকে যাবেন একাদশে।