তৃতীয় ওয়ানডে জিতে হোয়াটওয়াশ এড়াতে রেকর্ড গড়তে হতো বাংলাদেশকে। এর আগে ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিলো পাকিস্তানের দখলে। সেই ১৯৮৯ সালে ২৫৪ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিলো পাকিস্তান।
সেখানে বাংলাদেশের সামনে আজ ছিলো ৩১৮ রানের চ্যালেঞ্জ। টি-টোয়েন্টির এই যুগে ৩১৮ রান তাড়া করা কি খুবই কঠিন? এই তো গত বিশ্বকাপেই সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের ব্যাটিং বিরত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩২২ রান তাড়া করে হেসে খেলেই জিতেছিলো বাংলাদেশ।
যদিও আজ সাকিব আল হাসান ছিলেন না। কিন্তু বাকিদের কি অনন্ত লড়াই করার সামর্থ্য ছিলো না? অথচ নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে ৩১৮ রান তুলে ফেলার পরই ম্যাচ জয়ের আশা ছেড়ে দিলো বাংলাদেশ! কারো ভিতর নূন্যতম লড়াই করার মানসিক তাগিদ পর্যন্ত দেখা গেলো না। শেষের দিকে মাহমুদউল্লাহ চেস্টা করলেও তখন তাঁর পক্ষে একা কিছুই করার ছিলো না।
শেষ পর্যন্ত ১৫৪ রানে অলআউট হয়ে ১৬৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এমন অসহায় আত্মসমর্পণ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তামিম ইকবাল। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক জানিয়েছেন প্রথম ১০ ওভারেই পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ; টিকে থাকতে পারলে একটা সম্ভবনা তৈরি হতো।
তামিম বলেন, ‘যেভাবে আমরা ব্যাটিং করেছি, সেটা মানা যায় না। আপনি ভালো বল পেতে পারেন, কিন্তু ধৈর্য ধরতে হবে। বিশ্বের এ প্রান্তে খেলতে এলে বল একটু মুভমেন্ট করবে, একটু বাউন্স করবে। কিন্তু এখানকার উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। টিকে থাকলে সময় আসবেই। আমরা অনেক বেশি লুজ শট খেলেছি। ১০ ওভারেই তিন উইকেট নেই। ম্যাচ ওইখানেই শেষ।’
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদের বোলিং নৈপুণ্যে শুরুটা ভালো না হলেও চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া ডেভন কনওয়ে ও ড্যারিল মিশেলের জোড়া সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে কিউইরা।
এছাড়া গতি, সুইং, বাউন্স এবং শর্ট বলের পসরা সাজিয়ে পুরো সিরিজ জুড়েই দুর্দান্ত বল করেছেন স্বাগতিক বোলাররা। তাই সিরিজ জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডকেই পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন তামিম ইকবাল।
তিনি বলেন, ‘আমরা বল হাতে ভালোই শুরু করেছিলাম। তারা ৫৭ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু কনওয়ে ও মিশেল সত্যিই দারুণ ব্যাটিং করেছে। মাঝে মাঝে ছোট ছোট জিনিস বেশি ব্যথা দেয়। ক্যাচ আর সুযোগ হাতছাড়া, তবে নিউজিল্যান্ডকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। পুরো সিরিজ জুড়ে তারা দুর্দান্ত ছিল।’
নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এসময় পুরো দমে অনুশীলনেরও সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। কোয়ারেন্টাইন শেষে পাঁচ দিনের প্রস্ততি ক্যাম্প করে ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে এটাকে অযুহাত হিসাবে দাঁড় করাতে নারাজ বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমি এমন কেউ নই যে কোয়ারেন্টিন ইস্যু বা প্রস্তুতির ঘাটতিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাবে। সোজা কথায় আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি।’