সাকিব আল হাসান অনুশীলনে এলেন, দলের সবার সাথে গল্পেও মেতে উঠলেন। তাঁর শরীরি ভাষায় কিছুই বোঝার উপায় নেই। যেন সবকিছুই স্বাভাবিক। কিছুই হয়নি। তাঁকে ঘিরে ক্রিকেটারদের আড্ডাও হল খানিকক্ষণ। এরপর চলে গেলেন ব্যাট হাতে নিজের প্রস্তুতি সাড়তে। নেটে ব্যাটিং করলেন তামিম ইকবালের সাথে পাশাপাশি নেটেই।
আজ সকালেই আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন সাকিব। কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়েই চলে এসেছেন হোম অব ক্রিকেটে। সব সময়ের মত আজও অনুশীলন শুরু করলেন ফুটবল খেলেই। হাসিতে মাতোয়ারা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের সাথে। তবে এটা ঠিক যে সেই সময় ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে একটা কথাও বলেননি সাকিব।
তবে ড্রেসিংরুমে অধিনায়কের সাথে নিশ্চয়ই আলোচনা হবে সাকিবের। অন্তত সিরিজ নিয়ে দলের পরিকল্পনার কথা তো নিশ্চয়ই জানান হবে তাঁকে। ওদিকে তাঁদের কথা বলতে দেখা না গেলেও পাশাপাশি নেটে ঠিকই ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে।
মিরপুরের ইনডোরে প্রথম স্লটেই ব্যাটিং করেছেন তামিম ইকবাল। এক নাম্বার নেটে তামিম অনেকক্ষণ ব্যাটিং করার পর সাকিব আসেন ব্যাট করতে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায় তিন নাম্বার নেটে ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করেন সাকিব। খানিকক্ষণ বাদে দুজনই নেট পরিবর্তন করেন।
সাকিব চলে যান পাঁচ নাম্বার নেটে, আর তাঁর পাশে চার নাম্বার নেটেই যান তামিম ইকবাল। সেখানে বেশ অনেকক্ষণ ব্যাটিং করে নিজেদের অনুশীলন শেষ করেছেন দুজনেই। সব মিলিয়ে সাকিব তামিমের দ্বন্দ্বটা এখন দেশের ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত রূপই পেয়েছে। এমন কি প্রয়োজন ছাড়া একজন আরেকজনের সাথে কথাও বলেন না।
ওদিকে সাকিব নেটে আজ প্রথমেই ব্যাটিং করেছেন পেসারদের বিপক্ষে। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমানদের বিপক্ষে প্রথমে খানিকটা ভুগেছেনও। তবে দ্রুতই আবার নিজের রূপে ফিরেছেন।
পেসারদের সামলানোর পর থ্রোয়ারদের বিপক্ষে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন কিছুক্ষণ। এভাবেই অনুশীলনে নিজের প্রথম দিনটা কাটালেন সাকিব আল হাসান। যেখানে তাঁর কাছে বাইরের আলোচনা থেকে নিজের পেশাদারীত্বটাই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
সাকিব আল হাসান বিপিএল শেষ করেই চলে গিয়েছিলেন পিএসএল খেলতে। সেখান থেকে নিজের পরিবারের কাছে আমেরিকায় চলে যান এই ক্রিকেটার। ফলে ২৬ তারিখ পর্যন্ত তাঁর ছুটি নেয়াই ছিল।
যদিও গত কয়েকদিন ধরেই ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য অনুশীলন করছে বাংলাদেশ দল। সেই অনুশীলনে আজই প্রথম যোগ দিলেন সাকিব। ইনডোরে হেড কোচ হয়ে আসা চান্দিকা হাতুরুসিংহের সাথেও বেশ খানিকক্ষণ কথা বলতে দেখা গিয়েছে সাকিবকে।
ওদিকে আগামীকালই দুই দল নিজেদের শেষ অনুশীলন করবে। ১ মার্চ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। আর মিরপুরের স্পিনিং উইকেটে বাংলাদেশের বড় অস্ত্র সাকিব। স্পিন বোলিং আক্রমণটা সামলাতে হবে তাঁকেই। ফলে বন্ধুত্বের খাতিরে কথা না বললেও দলের প্রয়োজনে সাকিবের সাথে কথা বলতেই হবে অধিনায়ক তামিমের। কেননা পরিকল্পনার বড় অংশ জুড়ে তো সাকিবই থাকবেন।