অবশেষে একটা বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেল। তামিম ইকবাল খান, খেলতে চাইছেন আসন্ন এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ। নিশ্চয়তা পাওয়া গেল তার সিদ্ধান্তেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তামিম ইকবাল খান তার ইনজুরির জন্যে আপাতত ইনজেকশন ব্যবহারের পরামর্শ পেয়েছেন লন্ডনের ডাক্তারদের কাছ থেকে।
তিনি বেছেও নিয়েছেন সে সিদ্ধান্ত। এমনকি ইতোমধ্যেই তিনি নিয়েও ফেলেছেন সেই ইনজেকশন। তবে হুট করেই তিনি মাঠে নেমে যেতে পারছেন না। তাকে সপ্তাহ দু’য়েক থাকতে হবে সম্পূর্ণ বিশ্রামে। এরপর তিনি ফিরবেন মাঠে।নিজের ফিটনেস ফিরে পাওয়ার লড়াইটা ঠিক তখন থেকেই করবেন তামিম ইকবাল খান।
তামিমের মেরুদণ্ডের স্লিপডিস্কে ক্ষয় ধরতে শুরু করেছিল গেল বছরের নভেম্বরেই। সেই সময় ব্যথা উপশমে একদফা তিনি সেই শক্তিশালী ইনজেকশন নিয়েছিলেন। তাতে পাঁচ মাসের মত ব্যথা ছিল দূরে। দিব্যি তামিম খেলে গেছেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট। এমনকি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে টানা ১০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এছাড়া আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচও খেলেছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
তাইতো ধারণা করা যাচ্ছে, অন্তত আগামী পাঁচ মাসে তামিমের এই পিঠের ব্যথাটা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না। তবে সেক্ষেত্রে তামিমকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি সতর্ক থাকতে হবে দলের মেডিকেল টিম ও ফিজিও এমনকি জিম ট্রেইনারদের। তামিমের বিষয়ে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে গোটা দলকে।
কিন্তু তামিমের এই ব্যথা যে দু’চার দিনের মধ্যে আবার ফিরবে না, সে নিশ্চয়তাও কিন্তু নেই। যেকোন পরিস্থিতিতে তামিমের পিঠের ব্যথাটা আরও একবার সরব হয়ে উঠতেই পারে। তেমন পরিস্থিতি হলে, তামিমকে বর্তমানের থেকে একটু শক্তিশালী ইনজেকশন নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
অথচ বেশ জোরালো গুঞ্জন ছিল, তামিমের এই ইনজুরি অস্ত্রপচার করা ছাড়া নিরাময়ের কোন উপায় নেই। তা অবশ্য এখনও নেই। স্রেফ কিছুদিনের জন্যে প্রশমিত করবার একটা পথই বেছে নিলেন তামিম ইকবাল খান। কেননা ছুরিকাঁচির দ্বারস্থ হলে তাকে লম্বা একটা সময় থাকতে হতো মাঠের বাইরে। তাতে করে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ মিস করতেন তিনি।
লম্বা এক অবসর নাটকীয়তার পর, তামিম ফিরেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তবে তাকে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে পাওয়া যাবে নাকি সে নিয়ে ছিল সংশয়। এখন তামিমের পদক্ষেপ অন্তত সংশয়ের মেঘ ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু তবুও, একেবারে অন্তিম মুহূর্তে ইনজেকশনের কার্য্যকরিতা কমতে শুরু করলে কি হবে?