হিমালয় কন্যা নেপাল অবশেষে মুখ ফিরে চাইলো তাঁর দিকে। দীর্ঘ বিরতির পর এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরে তামিম ইকবাল খান ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। প্রথম দুই ম্যাচে নিজের চেনা ছন্দ ফিরে পাননি তিনি। অবশেষে তৃতীয় ম্যাচে এসে রানের দেখা পেয়েছেন তামিম। আজ চিতওয়ান টাইগার্সের বিপক্ষে খেলেছেন ৩০ বলে ৪০ রানের ইনিংস।
তাঁর দল ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্সও জয় পেয়েছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে। আজ তামিমের ইনিংসে পাঁচটি চারের সাথে ছিল একটি ছয়। প্রথম ম্যাচে বিরাটনগর ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে তামিম করেছিলেন ১৩ বলে ১২ রান করে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে ললিতপুর প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছিল ১৬ বলে ১৪ রান।
আগের দুই ম্যাচ রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটি ভালো শুরু এনে দিতে না পারলেও আজ চিতওয়ানের দেওয়া ১৬৫ রানে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে তামিম এবং প্রদিপ আইয়ারের ১০.৫ ওভারে ১০৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ভিত পায় ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্স। তামিম আউট হয়ে গেলেও ৪৩ বলে ৭২ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন আইয়ার।
দুই ওপেনার আউট হয়ে যাওয়ার পর শেষের দিকে উপুল থারাঙ্গার অপরাজিত ১৯ বলে ৩৯ রানে ভর করে ১৩ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ভাইরাহাওয়া। চিতওয়ান টাইগার্সের পক্ষে দুটি উইকেট শিকার করেন করিম জান্নাত।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে চিতওয়ান টাইগার্স। দলের পক্ষে ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন করিম জান্নাত। ২৪ বলে ৩২ রান আসে মোহাম্মদ শেহজাদের ব্যাট থেকে।
এছাড়া ভিম শারিকি ১৬ বলে ১৬, সেকুগ্গে প্রসন্ন ১১ বলে ২৪ এবং শেষের দিকে রাজেশ পুলামি ৭ বলে ১৪ রান ও দিলীপ নাথ ৯ বলে ১৪ রান করেন। ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটরসের পক্ষে অবিনাশ ভোহরা তিনটি, কুশাল মোল্লা দুটি এবং একটি করে উইকেট শিকার করেন ধাম্মিকা প্রসাদ, দুর্গেশ গুপ্ত ও কৃঞ্চা কার্কি।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিতওয়ান টাইগার্স: ১৬৪/৮ (ওভার: ২০; জান্নাত- ৩৫, শেহজাদ- ৩২, শারিকি- ১৬, প্রসন্ন- ২৪, পুলামি- ১৪, নাথ- ১৪) (ভোহরা- ৪-০-৩৮-৩, মাল্লা- ৪-০-১৫-২, কার্কি- ৪-০-৩১-১, গুপ্ত- ৪-০-৩৫-১, প্রসাদ- ৪-০-৩৯-১)
ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্স: ১৬৫/৪ (ওভার: ১৭.৫; তামিম- ৪০, আইয়ার- ৭৩, থারাঙ্গা- ৩৯*) (জান্নাত- ৩-০-২৩-২)
ফলাফল: ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্স ৬ উইকেটে জয়ী।