অর্জনের গর্জনে সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাস তামিমের

ইনিংসের শেষ ওভারে যখন সাজঘরে ফেরেন তখন দলের সংগ্রহ ২৪১! সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে যাওয়া ইনিংসটার সমাপ্তি টানলেন ১৭০ এর কাছাকাছি স্ট্রাইক রেটে। এমন তামিমকেই তো চায় বাংলাদেশ।

লিটন দাসকে টপকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা করে নিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। সেই খুশিতেই হয়ত ঝড়ো সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি দুর্বার রাজশাহীর বিরুদ্ধে। যদিও ব্যাট হাতে এদিন দুইজনেই তান্ডব চালিয়েছেন বাইশ গজে। লিটন হয়ত মেরেছেন আক্রোশ,আক্ষেপ, অথবা প্রমানের তাগিদে।

আর তামিম যেন হাঁকালেন খুশিতে, আনন্দে অথবা নিজের সামর্থ্যর জানান দিতে। ৬৪ বলে করলেন ১০৮ রান। ছক্কা হাঁকিয়েছেন আটটা, চার মেরেছেন ছয়টা।

এর আগে এই বিপিএলে এক ফিফটি থাকলেও তা কতটা টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এদিনও ইনিংসের শুরুর দিকে স্ট্রাগল করেছেন বেশ। প্রথম ১৫ বলে করেছিলেন মোটে ১২ রান। তবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই ‘গিয়ার শিফট’ করেন তামিম। টানা চার বলে হাঁকান দুই ছক্কা আর দুই চার। নিজের পছন্দের ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা দুইটাকে পাঠান গ্যালারিতে। লং অন আর ডিপ এক্সটা কাভারে খেলা বাউন্ডারি দুইটাও যথেষ্ট আকর্ষণীয়।

যদিও এর পরের বলেই জীবন পেয়েছিলেন তিনি। সানজামুল ইসলামের বলে তামিমের সহজ ক্যাচটা লং অনে হেলায় ছেড়ে দেন রায়ান বার্ল। পরের ২০ বলে আর ৩৮ রান করে চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিলেন তানজিদ হাসান তামিম।

এরপরে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি তামিমকে। রায়ান বার্লের বলে আবারও ঐ ডিপ মিড উইকেটে ছয় মেরে তুলে নেন অর্ধশতক। সর্তীথ লিটন দাসের সাথে পাল্লা দিয়ে কচুকাটা করেছেন প্রতিপক্ষ বোলারদের।

চার বাউন্ডারি আর তিন ছক্কায় অর্ধশতক করা তামিম আরো রুদ্রমূর্তি ধারন করেন এরপরে। বার্ল, সোহাগ গাজী, শফিউল ইসলামদের বলগুলো আছড়ে ফেলেন বাউন্ডারির ওপারে। উইকেটের চারপাশে চার ছক্কার বন্যা বইয়ে বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি।

ইনিংসের শেষ ওভারে যখন সাজঘরে ফেরেন তখন দলের সংগ্রহ ২৪১! সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে যাওয়া ইনিংসটার সমাপ্তি টানলেন ১৭০ এর কাছাকাছি স্ট্রাইক রেটে। এমন তামিমকেই তো চায় বাংলাদেশ।

Share via
Copy link