তবে কি আম্পায়ারের ভুলেই হেরে গেল খুলনা টাইগার্স! অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই যুগেও এমন হটকারিতায়, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পরাজয়ের গ্লানি টানতে হল মেহেদী হাসান মিরাজের দলকে।
চার বলে দরকার ১৪ রান। রুয়েল মিয়ার বলটা সজোরে হাঁকালেন আবু হায়দার রনি। শর্ট থার্ডম্যানের উপর দিয়ে চার মেরে সমীকরণটা তিন বলে ১০ রানে নিয়ে আসেন রনি। যদিও ম্যাচটা জিততে পারেননি তিনি। অথচ বলটা ছিল স্পষ্ট নো বল। রিটার্ন ক্রিজে ব্যাক ফুট রেখেই বলটা ডেলিভারি করেছিলেন রুয়েল মিয়া। ইন্ট্যারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) রুল ২১.৫.১ অনুসারে, বোলার কোন অবস্থাতেই ডেলিভারির সময়ে রিটার্ন ক্রিজে নিজের ব্যাক ফুট রাখতে পারবেন না। সেই নিয়মেই নো বল হয়েছিল বলটি। যদিও মাঠ আম্পায়ার বা থার্ড আম্পায়ার কেওই নজরেই নিলেন না ব্যাপারটা।
অথচ বলটি নো বল হতে সমীকরণটা অনেকটা চলে যেত খুলনা টাইর্গারসের পক্ষে। প্রথম বলে সিঙ্গেল, পরের দুই বলে দুই চার আর সাথে নো বলটা যুক্ত হলে, শেষ চার বলে দরকার হত মাত্র ৯ রানের। যে বলটায় রনি সীমানায় কাটা পড়লেন সেটিও হতে পারত ফ্রি হিট বল। ম্যাচের ভাগ্য ঘুড়ে যেতে পারত সেখানেই।
দেশীয় এক গণমাধ্যমকে একই সমস্যার কথা জানালেন খুলনার কোচ তালহা জুবায়ের। তিনি বলেন, ‘শতভাগ নিশ্চিত এই নো বলের জন্যই আমরা হেরেছি। লাস্ট ওভারে নো বল মানে কি! অবশ্যই তখন বোলারের উপর প্রেশার বেশি থাকতো, সাথে ফ্রি হিটের সুবিধা পেতাম। এই ঘটনাটি আমাদের জন্য চরম বিপর্যয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাইলজে বা রুলসে কি আছে জানতে হবে। আমরা এটা নিয়ে প্রতিবাদ করলে পরবর্তীতে কি সিদ্ধান্ত আসবে সে সমন্ধেও ধারনা নিতে হবে। এইমূহুর্তে আমার সেটি জানা নেই। ম্যাচ শেষে এটা নিয়ে রিপোর্ট করার ব্যাপারে আমরা অবশ্যই কথা বলব।’
এই হারেই আগের তিন ম্যাচে দুই জয় পাওয়া খুলনাকে নেমে যেতে হয়েছে পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে। এই ‘নো বল বির্তকের’ খেসারত তাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।