থাইল্যান্ডের কাছে হোঁচট খেল পাকিস্তানের মেয়েরা। টানা দুই ম্যাচে জিতলেও থাই মেয়েরা পাকিস্তানকে হারাল চার উইকেটের ব্যবধানে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের দেওয়া ১১৭ রানের লক্ষ্য এক বল ও চার উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় থাইল্যান্ড।
রোমাঞ্চকর এই ম্যাচের লড়াই গড়ায় শেষ ওভারে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য থাইল্যান্ডের দরকার ছিল ১০ রান। প্রথম ডেলিভারিটা ওয়াইড হয় ডায়ানা বেগের। পরের বলে, মনে ওভারের প্রথম বৈধ ডেলিভারিতে সিঙ্গেল নেন ন্যাটাইয়া বুচত্থাম। দ্বিতীয় ডেলিভারিতে রাসনান কুনাহ বাউন্ডারি হাঁকান। পরের তিন বল থেকে আরও ৪ রান তুলে উল্লাসে মাতে থাইল্যান্ড।
সিলেটের উইকেটে সকালে ব্যাট করা কঠিন। তারপরও টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ কেন নিলেন – সেটাই প্রশ্ন। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে পাকিস্তান দল। সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন সিদরা আমিন। যদিও, তিনি এই রান করতে খেলেন ৬৪ টি ডেলিভারি। আর এখানেই ম্যাচটা হাতছাড়া হয় পাকিস্তান।
জবাব দিতে নেমে থাই মেয়েদের ইনিংস একাই টেনে নেন নাত্থাকান চ্যানথাম। তিনি ৫১ বলে ৬১ রান করেন। ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও দু’টি ছক্কা। থাইদের নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা সাফল্যের কান্ডারি তিনি। তাঁর হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
চলতি আসরে এটাই থাইদের প্রথম জয়। এর আগে প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে তাঁরা। কাল তারা আবার মাঠে নামবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে।
আর তিন ম্যাচে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান। কাল পাকিস্তান মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের। ফলে, এর আগে এই পরাজয় একটু ব্যাকফুটেই ঠেলে দিল পাকিস্তানকে।