‘বিবাহ অভিযান’ সিরিয়াল করে শঙ্কর চক্রবর্তী তখন বেশ জনপ্রিয়। সিরিয়ালের গণশা ছিল তোতলা। সেই গণশার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শঙ্কর। ছোট পর্দার ‘বিবাহ অভিযান’ সেই সময়ে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। সবার ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন শঙ্কর চক্রবর্তী, শুভাশিস মুখার্জিরা।
এরকম এক সময়ে স্বয়ং শচীন রমেশ টেন্ডুলকার কলকাতার ক্লাব ক্রিকেট খেলতে এই শহরে এসেছিলেন। খুব সম্ভবত গ্র্যান্ড হোটেলে উঠেছিলেন শচীন। ‘মাস্টার ব্লাস্টার’কে হোটেল থেকে ইডেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পড়েছিল শঙ্কর চক্রবর্তীর উপরে।
নির্দিষ্ট দিনে শঙ্কর ঠিক সময়ে চলে যান শচীনের হোটেলে। তার পরে ‘লিটল মাস্টার’কে নিয়ে পৌঁছান ইডেন গার্ডেন্সে। তখনও খেলা শুরু হতে বেশ খানিকটা সময় বাকি। শচীন আর শঙ্কর যখন ইডেনে ঢুকছেন,তখন মজার এক ঘটনা ঘটে।
শচীনকে দেখে উৎসাহী দর্শকরা চিৎকার শুরু করে দেন। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে শঙ্কর চক্রবর্তী সবটা দেখছিলেন। এমন সময়ে কয়েকজন দর্শক শঙ্করকে চিনতে পেরে ‘গণশা গণশা’ নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকেন।
অন্য নাম ধরে দর্শকদের এমন কোলাহলে শচীন প্রথমটায় অবাক হয়ে যান। হয়তো ভেবে থাকবেন, তাঁর এমন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় কে আবার ভাগ বসাতে এল! পরে বুঝতে পারেন দর্শকদের উৎসাহের কারণ। খোঁজখবর করে সচিন জানতে পেরেছিলেন শঙ্করের পরিচয়। পরে শঙ্কর চক্রবর্তীর বাড়িতেও গিয়েছিলেন শচীন। বেশ কিছুটা সময় ছিলেন সেখানে।
‘মাস্টার ব্লাস্টার’কে নিয়ে এই মজার গল্পটাই একবার আমাকে বলেছিলেন শঙ্কর চক্রবর্তী। যেদিন গণশার জনপ্রিয়তা ম্লান করে দিয়েছিল শচীনকেও… এরকমই কিছু একটা শিরোনাম ছিল।
স্টোরিটা পড়েছেন কিনা জানার জন্য ফোন করলে শঙ্করদা বেশ গম্ভীরভাবে বললেন, ‘অল্প কিছুটা পড়েছি..সবটা পড়া হয়নি। তবে হেডিংটা অন্য কিছু করলেও পারতে।’
শচীন আর শঙ্কর চক্রবর্তীর ছবিটা দেখে পুরনো অনেক ঘটনা মনে পড়ে গেল। একেকটা ছবি, একেকটা গল্প মানুষকে ফিরিয়ে দেয় অমূল্য স্মৃতি। এই ছবিটাও সেরকমই। মনে পড়ছে চিন্ময় রায়ের একটা গল্প। যার সঙ্গে কিছুটা হলেও জড়িয়ে শঙ্কর চক্রবর্তী। আরেকদিন না হয় সেই গল্প বলবো।