সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব মিলেছে, জানা গিয়েছে ওয়ানডে দলের অধিনায়কের নাম। ইনজুরি, অফ ফর্ম সহ নানান ইস্যুতে অধিনায়কত্ব থেকে বিদায় নেয়া তামিম ইকবালের উত্তরসূরী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাকিব আল হাসান।
তবে আরেকটা প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা, দলের অন্যতম সিনিয়র খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহকে জায়গা পাবেন এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপ দলে? এপ্রোচ, ফিটনেসের কারণে চলতি বছর পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাট থেকে বাদ পড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর থেকে আর লাল-সবুজের জার্সিতে ফেরা হয়নি রিয়াদের;
স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ফিটনেস আর রিফ্লেক্সে আরো কমে গিয়েছে। এখন তাই তাঁকে দলে নেয়া হবে কি না সে ব্যাপারে দ্বিধা দেখা দিয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্টের মাঝে।
অবশ্য তামিম ইকবাল অধিনায়ক থাকলে হয়তো শেষপর্যন্ত দলে টিকে থাকতেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ; দীর্ঘদিনের সতীর্থের প্রতি একরকমের দুর্বলতা ছিল তাঁর। কিন্তু সাকিব আল হাসান সম্পূর্ণ আলাদা, ক্রিকেটের মাঠে তিনি পুরোপুরি পেশাদার। তাই তো পারফরম্যান্সকে সবার আগে বিবেচনা করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, সাকিব আল হাসান অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে শর্ত দিয়ে রেখেছিলেন দলের উপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ থাকবে তাঁর। নামের জোরে নয়, ব্যাটে বলে পারফর্ম করেই জায়গা পেতে হবে সবাইকে। এজন্য মাহমুদউল্লাহর বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নও প্রায় ফিকে হয়ে উঠছে, কেননা গত কয়েক বছরে বলার মত কিছু করতে পারেননি এই ডানহাতি।
শুধু কি তাই? ক্যাপ্টেন হিসেবে সাকিব বরাবরই আক্রমণাত্বক। ফিট খেলোয়াড়দের তাই একটু অগ্রাধিকার দেন তিনি; ভাল ফিল্ডারদের দিকে তাঁর থাকে বিশেষ নজর। তাই তো শামীম হোসেন, আফিফ হোসেনদের টপকে শ্রীলঙ্কা কিংবা বিমানের টিকিট পাওয়া দুঃসাধ্য হবে রিয়াদের জন্য; বয়সের সাথে সাথে তো ধার কমেছে তাঁর।
এর আগে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর ধীরগতির ব্যাটিংয়ে মনঃক্ষূণ্ন হয়েছিলেন সাকিব। এবার তো তিনি নিজেই অধিনায়ক, রিয়াদকে বাদ দেয়ার সম্ভাবনাই তাই বেশি।
এছাড়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দায়িত্ব পাওয়ার পরেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একরকম ছুটিতে আছেন এই ফরম্যাট থেকে। তাই তো রিয়াদকে আবারও পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে আবার দেখা যাবে সেটা বলা যাচ্ছে না।
স্বয়ং তামিম ইকবালও যদি নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভাল করতে না পারেন তিনিই হয়তো পাবেন ভারতের বিমানের টিকিট। সে হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তো আরো পিছিয়ে; সম্ভবত রিয়াদকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় বলার মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে ভক্ত-সমর্থকদের।