গ্রুপ পর্বে চারটির মধ্যে চারটি ম্যাচ জিতেই সুপার এইটে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সুপার এইটে এসেও নিজেদের জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছিল তাঁরা। তবে দুই ম্যাচে দুই জয় নিয়েও সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সুপার এইটের শেষ ম্যাচটি জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না তাঁদের।
শুরুটা দারুণ করেছিলেন মার্কো ইয়ানসেন ও অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। প্রথম ওভারেই গত ম্যাচে তান্ডব চালানো শাই হোপকে ফিরিয়ে দেন ইয়ানসেন। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে দূর্দান্ত ফর্মে থাকা নিকোলাস পুরানের উইকেট শিকার করেন মার্করাম। তবে এমন পরিস্থিতি থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উদ্ধার করে্ন রোস্টন চেজ।
কাইল মায়ার্সকে নিয়ে রান তুলতে থাকেন তিনি। তবে তাঁদের ৮১ রানের জুটি ভেঙে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আবার ম্যাচে নিয়ে আসে তাবরিজ শামসি। ২ উইকেট ৮৬ রান থাকলেও, সেটা ৯৭ এর ঘরে পৌঁছাতেই ৬ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং ধসে মূল ভূমিকা রাখেন শামসি। শেষের দিকে আন্দ্রে রাসেল ও আলজারি জোসেফের স্বল্প দৈর্ঘ্য দুইটি ইনিংসে ১৩৫ রানে পৌছায় উইন্ডিজ ইনিংস।
জবাবে প্রথম ওভারে তিন বাউন্ডারি হাকিয়ে দারুণ শুরু করেছিলেন ডি কক। তবে দ্বিতীয় ওভারে এসেই রাসেল আঘাত হানেন দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। নিজের প্রথম ওভারেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটাররের উইকেট শিকার করেন তিনি। এরপর বৃষ্টি নেমে এলে খেলা কমিয়ে ১৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট দাঁড়ায় ১২৩ রান।
ট্রিস্টান স্টাবসকে সাথে নিয়ে দেখেশুনে খেলতে থাকেন অধিনায়ক মার্করাম। নিজের প্রথম ওভারে এসেই মার্করামের উইকেট শিকার করেন জোসেফ। তবে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে এসেই ঝড় তোলেন ক্লাসেন। গুদাকেশ মতির এক ওভারে ২০ রান নিলে বিপাকে পড়ে যায় ক্যারিবীয়রা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
১০০ রানের মাথায় স্টাবসের উইকেট হারালে আবারও নিজেদের চোকার্স তকমার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তাদের শেষ রক্ষা করেন সেই ইয়ানসেন। ১৪ বলে ২১ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ফলে চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের সাতটি ম্যাচেই জয় নিয়ে সেমিফাইনালে পৌছায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে চোকার্স তকমা পেছনে ফেলে তাঁরা ফাইনালে উঠতে পারে কি না তাই দেখার বিষয়।