দ্বিতীয় সেরা দল নামের জোক বনাম সঠিক অ্যাপ্রোচ

কাগজে কলমে আফগানিস্তান কখনওই এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেরা দল ছিল না। কিন্তু, সেই হাইপ নিয়েই তাঁরা এসেছিল এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে। তাঁদের সেই দম্ভ মাটির সাথে মিশিয়ে দিল জাকের আলীর বাংলাদেশ দল, সেটাও শীর্ষ কয়েকজন ক্রিকেটারকে ছাড়া। এটাই একটা স্টেটমেন্ট।

বাংলাদেশের সঠিক অ্যাপ্রোচের প্রতাপে মুখ থুবড়ে পড়ল আফগানিস্তান। যে বাংলাদেশ বছরের শুরুতে এই আরব আমিরাতের মাটিতেই পুঁচকে আমিরাতের কাছে সিরিজ হেরে নত মুখে ফিরে গিয়েছিল, সেই বাংলাদেশই এবার একই মাঠে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিল আফগানিস্তানকে। ক্রিকেটের বৃত্ত এমনই—যেখানে পতন আছে, সেখানেই উত্থানের গল্পও লেখা হয়। বাংলাদেশ এখান থেকে টি-টোয়েন্টিতে নতুন সূর্যোদয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে।

রিজে সবচেয়ে প্রশংসনীয় বিষয়টা ছিল বাংলাদেশ দলের রোটেশন কৌশল। বোলারদের মধ্যে দারুণ ভারসাম্য তৈরি করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এক ম্যাচে এক জন বিশ্রামে, পরের ম্যাচে অন্য কেউ—সবাইকে খেলানো হয়েছে, সবাইকে দেখানো হয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টের চোখে একটাই লক্ষ্য—দীর্ঘ মেয়াদি প্রস্তুতি।

কিন্তু ব্যাটিংয়ে সেটা সম্ভব হয়নি। তাওহী হৃদয় আর লিটন দাসের অনুপস্থিতি, সৌম্য সরকারের ভিসা জনিত অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে ব্যাটিং অর্ডারটা ছিল অর্ধেক আঁকা ছবির মতো। তবু সেই অপূর্ণ ব্যাটিং দিয়েই বাংলাদেশ জিতেছে সিরিজ, সেটাই সঠিক দিকনির্দেশনার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

পুরো সিরিজ জুড়ে আফগান স্পিনারদের মোকাবিলা করেছে চমৎকার দক্ষতায়। হ্যাঁ, এখনও ব্যাটিং অর্ডারে দূর্বলতা সেটা ওই আফগান স্পিনারদের বিপক্ষেই। সেখানে মিডল অর্ডারে যথেষ্ট বিকল্পও ছিল না বাংলাদেশের হাতে। তারপরও সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য আফগানিস্তানকে মাটিতে নামানের সিরিজ।

এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল কথাটা এখন রীতিমত সার্কাসে পরিণত হয়েছে। কাগজে কলমে আফগানিস্তান কখনওই এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেরা দল ছিল না। কিন্তু, সেই হাইপ নিয়েই তাঁরা এসেছিল এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে। তাঁদের সেই দম্ভ মাটির সাথে মিশিয়ে দিল জাকের আলীর বাংলাদেশ দল, সেটাও শীর্ষ কয়েকজন ক্রিকেটারকে ছাড়া। এটাই একটা স্টেটমেন্ট।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link