ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরপরই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি অকশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ফলে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের নিয়ে কাড়াকাড়ি হবে এমনটা সবাই ধারণা করেছিল। তবু, মিশেল স্টার্ককে যখন ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ রুপির বিনিময়ে কেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স, তখন বিস্মিত হননি এমন কাউকে বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না।
নিলাম যুদ্ধে এমন অসঙ্গতি হবে সেটা অবশ্য আগেই আন্দাজ করেছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের কোচ কুমার সাঙ্গাকারা। তিনি বলেন, ‘এমন নিলাম আসলে ক্ষতিকর, যদি আপনার কাছে অনেক টাকা থাকে কিন্তু নির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা না থাকে তখন এভাবে খেলোয়াড়দের মূল্য বেড়ে যায়। আমরা জানতাম এটা (সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ড) ভেঙে যাবে, তবে আমরা ভাঙ্গতাম না।’
আইপিএলের উদ্বোধনী মৌসুমে সর্বমোট বেতন সীমা ছিল মাত্র বিশ কোটি রুপি। এখন সেটি একশো কোটি হয়েছে – সেজন্য ক্রিকেটারদের মূল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে এমনটাই মত নাইট রাইডার্সের সিইও ভেঙ্কি মায়সোরের। তিনিই স্টার্ককে দলে নিতে নিলামের ইতিহাস নতুন করে লিখেছেন।
বাঁ-হাতি এই তারকার জন্য আর কত খরচ করতো কলকাতা, এমন প্রশ্নে মাইসোর বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত কোথায় থামতাম সেটা বলা কঠিন। হয়তো গুজরাট আমাদের অনুমানের চেয়ে একটি বিড কম দিয়েছে, আমরা তাঁদের প্রত্যাশার চেয়ে একটি বেশি দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা নিলাম এভাবেই চলে। ফলাফল কিন্তু অন্যকিছু হতে পারতো; তাঁরা চালিয়ে গেলে আমরা হয়তো থেমে যেতাম। একটা দল কতদূর এগোবে সেটি নির্ভর করে, ম্যানেজম্যান্ট আরও কতজন ক্রিকেটার চায়, তাঁদের হাতে কত টাকা আছে।
এই অজি পেসারের পিছনে বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করায় স্কোয়াডের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে কলকাতার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দল ঠিক করে টাকা কিভাবে ভাগ হবে। নির্দিষ্ট কারও জন্য কত খরচ হবে সেটা নির্ধারিত কিছু নয়। সবমিলিয়ে কিন্তু সব দল একই পরিমাণ অর্থ খরচ করে।’
সত্যি বলতে, মিশেল স্টার্কের জন্য রেকর্ড অর্থ ব্যয় করলেও নিলাম শেষে সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরতে পেরেছিল শাহরুখ খানের দল। সে তুলনায় গুজরাট টাইটান্স খুশি হতে পারেনি, সর্বোচ্চ টাকা নিয়ে নিলাম শুরু করলেও মন মতো তারকাদের দলে ভেড়াতে পারেনি তাঁরা।