রাজশাহী শহরে যাওয়ার পর যে ক্রিকেটারটার নাম সবার আগে আপনার মাথায় আসবে তিনি হচ্ছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক এবং তর্ক সাপেক্ষে দেশের সেরা উইকেটরক্ষকও। তবে সাবেক এই ক্রিকেটারের সাথে খেলা ৭১-এর এবারের ভ্রমণটা একটু আলাদা। এই পুরো যাত্রায় আপনারা হয়তো ক্রিকেট খুঁজে পাবেন সামান্যই।
আমাদের গন্তব্য রাজশাহী শহর থেকে খানিকটা দূরে খালেদ মাসুদ পাইলটের বাগানবাড়িতে। সাবেক এই ক্রিকেটারের সাথে তাঁর গাড়িতে করেই যাত্রা শুরু করা যাক। মানে, এখানেও পাইলট সেই পাইলটই। আর এই পুরো পথটায় সাথে থাকবেন আপনারাও। রাজশাহী শহরে গোছনো, পরিষ্কার রাস্তায় কয়েক কিলো পারি দিয়ে আমরা পোছে গিয়েছি খালেদ মাসুদ পাইলটের বাগানবাড়িতে।
রাজশাহীর কাকনে অবস্থিত এই বাগানটি নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। অসংখ্য গাছ, নানারকমের পাখি, পুকুর, মাছ, সুইমিং পুল কিংবা রাত কাটানোর জন্য ছোট্ট একটি বাড়ি, সবই আছে এখানে। এক কথায় শহরের কোলাহল থেকে দূরে এসে নিজেকে একটু ফিরে পাওয়ার জন্য এরথেকে ভালো কিছু হতে পারে না।
এই বাগানবাড়িতে ঢুকতেই প্রথমে দেখা যাবে ছোট্ট একটু পুকুর। মূলত মাছ ধরার শখ থেকেই এই পুকুর গড়ে তুলেছেন পাইলট। একটু সময় পেলেই এখানে এসে মাছ ধরেন তিনি। এই পুকুরে আবার আছে হাসদের জন্য আলাদা জায়গাও। বাগানের একটা পাশে রাজ হাসদের দলবেধে হেঁটে চলা দেখলে আপনার মনে একটা নির্মল আনন্দ কাজ করবেই।
এছাড়া এই বাগানে কবুতরদের জন্য আছে আলাদা একটু ঘর। নানা রকমের কবুতর মিলে এই বাগানটা যেন ভরে থাকে। পাইলট এখানে আসলেই নিজের হাতে কবুতরদের খাবার খাওয়ান।
সবই তো হলো, তবে রাজশাহীর একটা বাগানে আম থাকবে না তাতো হতে পারেনা। খালেদ মাসুদ পাইলটও নিজের বাগানটা সাজিয়েছেন বাহারি রকমের আম গাছ দিয়ে। প্রায় তিনশটি আম গাছ আছে এই বাগানে। আমও আছে নানা জাতের। আর প্রায় সবগুলো গাছই তিনি নিজ হাতে লাগিয়েছেন। সে যাই হোক, বাগানবাড়ির ছাদে বসে একটু আম না খেয়ে নিলে ব্যাপারটা ঠিক জমছে না।
এতবড় একটা বাগান তৈরি ইচ্ছা কেন জাগলো সেটা একটু শুনে আসা যাক খালেদ মাসুদ পাইলটের মুখ থেকেই। এই বাগান তৈরির নানান গল্প বলছিলেন সাবেক এই ক্রিকেটার।