জামাল ভূঁইয়ার কর্ণার থেকে হামজা চৌধুরীর গোল। ‘অ্যা ফেরিটেইল স্টার্ট’। ঘরের মাটিতে হামজার প্রথম ম্যাচ। আর প্রথম ম্যাচেই গোলের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবলের নবজাগরণের পথিকৃৎ।
কতশত কল্পনা বাস্তব হয়। কত স্বপ্নের বুনন হয় ঐ সবুজ গালিচায়। কত অপেক্ষার প্রহর শেষে হামজার লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়ানো। ঘরের মাঠে তার প্রথম ম্যাচ যেন এক ভিন্ন উন্মাদনার উপলক্ষ।
এমন ম্যাচ খেলতে হামজা ছিলেন মুখিয়ে। সুদূর ইংল্যান্ড থেকে এসে বিশ্রাম ছাড়াই নেমে গিয়েছিলেন অনুশীলনে। এই সবুজের মায়ায় তিনি ফিরেছেন। তার মানের একজন খেলোয়াড় র্যাংকিংয়ের ১৮৩ তম দলের হয়ে খেলতে নামবে, এটাও যেন এক অবাস্তব স্বপ্ন ছিল।
কিন্তু সেই ঘোর কেটেছে। জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজার পদধূলি পড়েছে। শুধু পদধূলি নয়, লাল-সবুজের হয়ে প্রথম গোলের দেখাটাও পেয়ে গেছেন তিনি। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে কর্ণার কিক। দেশের টানে প্রবাস থেকে ফেরার শুরুটা যার হাত ধরে, সেই জামাল গেলেন কর্ণার নিতে।
ডি-বক্সের বাইরে তখনও হামজা। তাকে কেউ মার্ক করেননি। কিন্তু জামাল জানতেন বলটা ঠিক কার মাথায় পাঠাতে হবে। জামালের দৌড়ের সাথে তাল মিলিয়ে ডি-বক্সে ঢুকলেন হামজা। এরপর শূন্যে ভেসে শক্তিশালী হেডারে হামজা খুঁজে নেন জালের ঠিকানা।
এই দিনটির জন্যেই তো ছিল এতকালের অপেক্ষা। নতুন বাংলাদেশ ফুটবলের দলের নিউক্লিয়াস হামজার নাম থাকবে স্কোরশিটে। সেটাই তো ছিল প্রত্যাশিত। হামজার গোলের অপেক্ষায় থাকা কোটি কোটি চোখকে তৃপ্তি দিলেন হামজা চৌধুরি। এ যেন রুপকথা, এ যেন শত অপেক্ষার শেষে সুমিষ্ঠ ফল পাওয়ার আনন্দ। এই আনন্দ বাঁধ ভাঙ্গা, এই আনন্দ গগন ছোঁয়া।