বিতর্ক আর সাকিব আল হাসান একসূত্রে গাঁথা। আজ এটা নিয়ে সমালোচনা হলো তো কাল আরেকটা নিয়ে এভাবেই এগিয়ে গিয়েছেন সাকিব। অভিষেকের পর থেকে তাঁর ক্যারিয়ার মোটেই মসৃণ পথে এগোয়নি; অনেকবার নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছেন নানান কারণে, জরিমানা দিতে হয়েছে প্রায়ই।
তবে বিতর্কিত হলেও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার মানুষ হিসেবে বরাবরই ইতিবাচক। মাঠের পারফরম্যান্সে যেমন সেরা তিনি, তেমনি মাঠের বাইরে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন। মাঠকর্মীদের উপহার দেয়া থেকে শুরু করে পরিচিতদের বিপদে পাশে দাঁড়ানো সবই করেছেন এই তারকা, কিন্তু এসব কিছু কখনোই লাইম লাইটে আসতে দেননি তিনি। যখন যা করেছেন চুপিসারেই করেছেন।
অবশ্য নির্বাচন উপলক্ষে সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর ‘পজিটিভ ইমেজ’ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে। প্রচার প্রচারণায় সাকিব যেভাবে জন-সাধারণের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন সেটা নতুন কিছুই মনে হচ্ছে অধিকাংশ ভক্ত-সমর্থকদের কাছে। রাজনৈতিক নেতাদের মতই রাস্তায় নেমে এসেছেন তিনি, ছোট বড় সবার সাথেই কুশল বিনিময় করছেন হাসিমুখে।
অথচ তাঁকে ভাবা হয় অন্তর্মুখী স্বভাবের, কেউ কেউ তো আবার অহংকারীও মনে করেন। বারবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়া এসব ধারণাকে আরো উস্কে দিয়েছে। কিন্তু বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার কখনোই এসব নিয়ে মাথা ঘামাননি, নিজের কাজ করে গিয়েছেন স্বাভাবিকভাবেই। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন তিনি।
মাগুরার সব জায়গাতেই যাচ্ছেন, নিজের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন সাধারণের মাঝে। এছাড়া সতীর্থ ক্রিকেটার এবং কোচদেরও আমন্ত্রণ করে নিজের এলাকায় এনেছেন। সবমিলিয়ে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এই তারকা। স্থানীয়রাও তাঁর এমন সরব উপস্থিতিতে দারুণ খুশি।
ভোটারদের মন জোগাতে ক্রিকেটও খেলছেন তিনি, অসংখ্য সেলফি তুলছেন; মেটাচ্ছেন নানান আবদার। বলতে গেলে, এতদিন দূরে দূরে থাকা সাকিব হুট করেই মিশে গিয়েছেন মানুষের সমুদ্রে। বিতর্কিত আর নেতিবাচক চরিত্র হয়ে ওঠা সাকিব আল হাসানের মাঝেও যে ইতিবাচক মানসিকতার কোন কমতি নেই সেটাই প্রমাণ হলো এই নির্বাচনী কার্যক্রমে। মানে, খেলা মাঠ হোক কিংবা ভোটের ময়দান – সব জায়গাতেই সাকিব সত্যিকারের এক অলরাউন্ডার।