ঘরোয়াতেও কোহলির ব্যাটে চিরচেনা সুর!

রোহিত শর্মার তান্ডবের দিনে বিরাট কোহলিও পেয়েছেন শতকের দেখা। ১৫ বছর পর লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ফিরেই রাজা দেখিয়ে দিলেন, তিনি যেখানেই যান মঞ্চটা তাঁরই। ১০১ বলে ১৩১ রানের ইনিংসটা যেন তাদের উদ্দেশ্যে আরও একবার জবাব দিল, যারা বলেছিল কোহলিদের সময় শেষ।

রোহিত শর্মার তান্ডবের দিনে বিরাট কোহলিও পেয়েছেন শতকের দেখা। ১৫ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ফিরেই রাজা দেখিয়ে দিলেন, তিনি যেখানেই যান মঞ্চটা তাঁরই। ১০১ বলে ১৩১ রানের ইনিংসটা যেন তাদের উদ্দেশ্যে আরও একবার জবাব দিল, যারা বলেছিল কোহলিদের সময় শেষ।

আন্ধ্রার বিপক্ষে ম্যাচ, দিল্লির হয়ে খেলা কোহলির জন্য মঞ্চটা প্রস্তুত ছিল। দিল্লির জন্য লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেওয়া হয়েছিল ২৯৯। চেজ করতে হবে দিল্লিকে, অবশ্য ভয় কি, চেজ মাস্টার তো আছেনই।

ব্যাট হাতে রাজা নামলেন, যখন সূর্যের সব আলো যেন কুর্নিশ জানালো তাঁকে, জানিয়ে দিল দিনটা কোহলিরই। ব্যাট হাতে আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতো কোহলি ছুঁটলেন। বিজয় হাজারে ট্রফিতে শেষ কবে এমন সৌন্দর্যের আঁকিবুঁকি হয়েছে তা অনেকেই হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন।

একেকটা শটে মুগ্ধতা ছড়ালেন, সিঙ্গেলস, ডাবলসের ব্যস্ত থাকলেন পুরোটা সময়। যেন ২০১০ সাল ফিরে গেছেন কোহলি, যেন সেই পুরনো ভায়োলিনের সুর মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছে সবাই।

শতক এলো, বিরাট উঁচিয়ে ধরলেন তাঁর বিরাট ব্যাট। এরপরই চলল তাঁর শো, দ্য কিং শো। শেষমেষ থামলেন ১০১ বলে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে। ১৪ চার আর তিন ছক্কায় সাজানো ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ১৩০। সেই সাথে নাম লিখিয়েছেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে শচীনের পর ১৬০০০ রানের মাইলফলক ছুঁইয়ে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে।

বিরাট কোহলিরা এমনই, যতবারই গল্পের পাতা থেকে তাঁদের বাদ দিতে চাইবেন, তারা উপন্যাস হয়ে ফিরে আসবে। সব সমালোচনা, উপেক্ষা, অবহেলার জবাব তাঁরা ব্যাট হাতে দেবে। প্রতিপক্ষ সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ার জন্যই তা কোহলিদের জন্য। সেটা মাঠের খেলায় হোক, কিংবা বাইরে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link