ইমরান নাজিরের ভবিষ্যৎ না হোক নাওয়াজের

সাতটি ছক্কা আর ১০ টি চারে সাজানো ইনিংস। বাউন্ডারি থেকেই করেছেন ৮২ রান। মানে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের পুরোট সময় জুড়েই শাসন করে গেছেন তিনি। এখন কেবল ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা। নিশ্চয়ই ইমরান নাজিরের মত ভবিষ্যৎ চাইবেন না তিনি।

ধূমকেতুর মত আসলেন হাসান নাওয়াজ। দুই ডাকের পর রানের খাতা খুলতেই সেঞ্চুরি। সেটাও নাকি আবার পাকিস্তানের দ্রুততম। প্রতিভার আঁতুরঘর পাকিস্তান নিজেদের প্যান্ডোরার বাক্স খুলে আরেকটা ম্যাজিক বের করে দিল।

ওর ব্যাটিংয়ের মধ্যে আমি নিজেকে খুঁজে পাই – বলেছিলেন ইমরান নাজির। ইমরান নাজির পাকিস্তানের চিরকালীন আক্ষেপ। ওপেনিংয়ে ঝড় তুললেও তিনি কখনওই লম্বা সময় সার্ভিস দিতে পারেননি পাকিস্তানকে।

সেই ঝুঁকি হাসান নাওয়াজকে নিয়েও আছে। এই নাওয়াজের মাঝেই তো ভবিষ্যতের ইমরান নাজিরকে খুঁজে পাচ্ছে পাকিস্তান। ইমরান নাজির নিজেও তাই বলছেন। সেই ঝুঁকি মাথায় রেখেই উত্থান হল নাওয়াজের।

নিউজিল্যান্পের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে ডাকের পর অবশেষে নিজের ঝড়টা দেখালেন। বুকের আগুনটা ঢেলে দিলেন মাঠে। মোহাম্মদ হারিসের সাথে নেমে ঝড়ে সূচনা করলেন। পাওয়ার প্লে-তে পাকিস্তান তুলল ৭৫ রান। এটা তাঁদের ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

মাত্র ৪৪ বলে সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছে যান তিনি। পাকিস্তানের ইতিহাসের দ্রততম সেঞ্চুরি। ৪৫ বলে ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। চার ওভার বাকি থাকতে ২০৪ রান তাড়া করে জিতে যায় পাকিস্তান। অবিস্মরণীয় এক রান তাড়ার নজীর।

সাতটি ছক্কা আর ১০ টি চারে সাজানো ইনিংস। বাউন্ডারি থেকেই করেছেন ৮২ রান। মানে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের পুরোট সময় জুড়েই শাসন করে গেছেন তিনি। এখন কেবল ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা। নিশ্চয়ই ইমরান নাজিরের মত ভবিষ্যৎ চাইবেন না তিনি।

Share via
Copy link