বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে চার নম্বরে ব্যাটিং করবেন কে? সব খোলাসা হলেও এই প্রশ্নের উত্তরটাই যেন অজানা। ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ শুরুর আর দুই মাসও বাকি নেই। কিন্তু ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এখনও একাদশের ৪ নম্বর পজিশন দ্বিধান্বিত। স্বয়ং দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও মানছেন, ভারতের বিশ্বকাপ ভাবনায় এই মুহূর্তে বড় মাথাব্যথার কারণ এই চার নম্বর পজিশন।
তাঁর মতে, ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকেই ভারত এই পজিশনে ব্যাটিং নিয়ে চরম মাত্রায় ভুক্তভোগী। যুবরাজ সিংয়ের পর কেউই এই রোলে দীর্ঘ সময়ের জন্য ভারতকে সার্ভিস দিতে পারেন নি।
যদিও শ্রেয়াস আইয়ার এই পজিশনে যতটা সুযোগ পেয়েছেন ভালই করেছেন। ২০ ম্যাচে ৪৭.৩৫ গড়ে ৮০৫ রান করেছেন। যার মধ্যে ছিল দুটি সেঞ্চুরি ও ৫ টি হাফসেঞ্চুরি। তবে ইনজুরির কারণে তিনি মাঠের বাইরে রয়েছেন প্রায় ৫ মাস হলো। আর এতেই ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট পড়েছে বিপাকে। যদিও আইয়ারকে ভাবনায় রেখেই বিশ্বকাপ পরিকল্পনা সাজানোর কথা টিম ইন্ডিয়ার।
এ নিয়ে রোহিত শর্মা বলেন, ‘এটা নিয়ে বলতে দ্বিধা নেই যে, বেশ কয়েক বছর ধরেই, ৪ নম্বর ব্যাটিং আমাদের দলের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে যুবরাজ সিংয়ের পর কেউই লম্বা সময়ের জন্য এ পজিশনে থিতু হতে পারেনি। আইয়ার এই পজিশনে খেলেছে। তাঁর পরিসংখ্যানও বেশ ভাল। কিন্তু ওর ইনজুরি আমাদের দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। শুধু তাই নয়, গত ৪/৫ বছরে, এত ইনজুরি হয়েছে, যার কারণে কেউই পর্যাপ্ত সুযোগ পায়নি। দলে আসা যাওয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে। আর এটাই আমাদের ক্ষতি করেছে।’
অবশ্য ইনজুরির কারণে বাইরে থাকলেও শ্রেয়াস আইয়ার আর লোকেশ রাহুল বিশ্বকাপ দলের বিবেচনায় ঠিকই রয়েছে। রোহিত শর্মারও এ ব্যাপারে একই মত। তিনি বলেন, ‘কেউ দলের জন্য অটোমেটিক চয়েস নয়। এমনকি আমিও নই। তবে আমরা ওদের জন্য অপেক্ষা করতে চাই। কারণ তাদের উপরেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পজিশন নির্ভর করছে।’
শ্রেয়াস আইয়ারকে টেনে রোহিত শর্মা এরপর আরো যুক্ত করে বলেন, ‘ওর একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে। ও আমাদের সাথে ৪ মাস ছিল না। জানি না ও কিভাবে মানিয়ে নিবে। আমি নিজেও এই সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। ওর জন্য সত্যিই কঠিন একটা সময়।’
বিশ্বকাপের দল নির্বাচন নিয়ে এরপর ভারতের এ অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপ দল নির্বাচনের প্রক্রিয়াতেই এগোচ্ছি। আমরা কয়েকদিনের মধ্যেই বসব। অনেক নাম আছে। আমরা ভাবব। যেটি আমাদের জন্য উপযুক্ত মনে হবে সেটিই আমরা পিক করব। তবে সত্যিকার অর্থে, দলে কেউই অটোমেটিক চয়েস নেই আর।’
তবে এখন পর্যন্ত আইয়ার আর লোকেশ রাহুলকে নিয়ে আশাবাদী রোহিত শর্মা। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিবাচক বার্তার অপেক্ষায় আছি। ওরা ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) তে চার মাস সময় কাটিয়েছে। ফেরার জন্য কঠোর পরিশ্রমও করেছে তাঁরা। আশা করছি, ওরা তাড়াতাড়ি মাঠে ফিরবে।’