পেস, বাউন্স অ্যান্ড নাহিদ রানা

স্পিড গানে উঠল ১৫০.৯, পরের বলটা ১৪২.৯। ধারাভাষ্য থেকে রমিজ রাজা বলে উঠলেন, ‘দ্যাটস আ ম্যাসিভ ড্রিফেন্স।’ বাইশ গজে তখন উপভোগ করছেন নাহিদ রানা। রহমানুল্লাহ গুরবাজ আর সাদিকুল্লাহ অটলরা তখন ধুকছেন।

স্পিড গানে উঠল ১৫০.৯, পরের বলটা ১৪২.৯। ধারাভাষ্য থেকে রমিজ রাজা বলে উঠলেন, ‘দ্যাটস আ ম্যাসিভ ড্রিফেন্স।’ বাইশ গজে তখন উপভোগ করছেন নাহিদ রানা। রহমানুল্লাহ গুরবাজ আর সাদিকুল্লাহ অটলরা তখন ধুকছেন।

তখন আফগানদের ইনিংসের অষ্টম ওভার। ওভারের ধামাকা তখনও বাকি। চতুর্থ ওভারে গতির ঝড়টা আর সামলাতে পারলেন না অটল। বলের লাইন মিস করলেন। বোল্ড। বলের গতি ছিল ১৪৮.৯। এতই জোরে এসেছে বলটা যে বোল্ড হওয়ার পরও সেটা ধরতে মাটিতে শুয়ে পড়তে হল উইকেটরক্ষক জাকের আলীকে।

ওয়ানডে অভিষেকের শুরুটা এমনই জমকালো ছিল নাহিদ রানার। বাংলাদেশের নতুন দিনের স্পিড স্টার। তাঁর মত গতির ঝড় বাংলাদেশে তো বটেই, আজকাল ক্রিকেট বিশ্বেও পাওয়া দুস্কর। নিয়মিত বোলিং স্পিড উঠে যাচ্ছে ১৫০ কি ১৫৫-তে।

গেল মার্চে টেস্ট অভিষেকেই নাহিদ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ। উত্থানকে অভাবনীয় বলতেই হয়। চার বছর আগেও ক্রিকেট বল নিয়ে বল করার অভ্যাস ছিল না। ২০২০ সালে ক্রিকেট বলে বোলিং করা শুরু করেন। ক্রিকেট বল হাতে নেওয়ার এক বছরের মধ্যেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক।

সেখান থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। সেখান থেকে টেস্টের পর এবার রঙিন পোশাকেও ভরসা দিচ্ছেন নাহিদ। নাহিদের বড় সম্পদ তাঁর উচ্চতা। নিজের উচ্চতার কারণে সহজাত বাউন্স পান। আর সেটিকেই তিনি অস্ত্র বানিয়ে ব্যাটারদের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ান। ডেলিভারি হ্যান্ড সোজা, পেয়ে যান কিছু বাড়তি মুভমেন্ট। ইদানিং গতির সাথে লাইন আর লেন্থ নিয়েও কাজ করছেন এই ফাস্ট বোলার। আর তারই সুফল তিনি নিয়মিত পাচ্ছেন মাঠে।

Share via
Copy link