হার্দিক পান্ডিয়া কি হাত খুলতে একটু বেশিই সময় নিয়ে ফেললেন? রাজকোটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও হেরেছে ভারত, তাতেই প্রমাণ হয় একটু খাপছাড়া ক্রিকেটই খেলেছেন হার্দিক।
ব্যাটিংয়ে নেমে আদৌ কখনও ব্যাটিংয়ের লাগাম নিজেদের দিকে টানতে পারেনি ভারত। এই দায়ভার হার্দিককে নিতেই হবে। ৩৫ বল খেলে তিনি করেছেন ৪০ রান। স্ট্রাইক রেট মোটে ১১৫-এর কাছাকাছি।
অন্য প্রান্তে যখন একের পর এক উইকেট পতনের মিছিল, তখন স্রেফ আরেকটা প্রান্ত আগলে রেখেছেন এই অলরাউন্ডার। ওই আগলে রাখা পর্যন্তই। তাতে কোনো লাভ হয়নি ভারতের। আসলে এটা ভারতের গোটা মিডল অর্ডারেরই সংকট।
ফলাফল, ২৬ রানে হারল ভারত। টি-টোয়েন্টিতে এটা যথেষ্ট বড় ব্যবধান ইংল্যান্ড রাজকোটে বাউন্স ব্যাক করেছে দারুণ ভাবে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে তাঁরা ১৭১ রান করে নয় উইকেট হারিয়ে। যদিও, বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং ছাড়া এই স্কোর কোনো ভাবেই যথেষ্ট ছিল না। কিন্তু, জেমি ওভারটন, ব্রাইডন কার্স বা জোফরা আর্চাররা নিজেদের বোলিংয়ে ছিলেন যত্নশীল। যার ফলাফল নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ইংল্যান্ড।
যদিও, ১৭১ রান তুলতেও আসলে ঘাম ঝড়ে যায় ইংল্যান্ডের। পাঁচ উইকেট নিয়ে রাস্তাটা কঠিন করে দেন বরুণ চক্রবর্তী। বেন ডাকেট ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি করলেও ১২৭ রানেই আট উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তাঁরা। তবে, লিয়াম লিভিংস্টোন এরপর ঝড় তোলেন। শেষ দুই ব্যাটার আদিল রশিদ আর মার্ক উডের ২৪ রানের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপটাও খুব জরুরী ছিল।
জবাবে, অভিষেক শর্মা কিংবা তিলক ভার্মারা ভাল শুরু করলেও সেটা স্থায়ী হয়নি। তার ওপর ফর্মে নেই সুরিয়াকুমার যাদব, তিনিই আবার অধিনায়ক। ভারত এতদিন বিপদে পড়েনি, কারণ টপ অর্ডার দারুণ ফর্মে ছিল। একদিন প্রথম তিন জন্য ব্যর্থ, সেই তাসের কেল্লার মত ভেঙে পড়ল ভারত। সুরিয়ার পর পান্ডিয়া খেললেন অবিবেচক এক ইনিংস।
ওয়াশিংটন সুন্দর এই চাপ নেওয়ার ব্যাটার নন, অন্যদিকে ধ্রুব জুরেল তো টি-টোয়েন্টির ব্যাটারই নন। সাইডলাইনে বসে বেঞ্চ গরম করছেন রিঙ্কু সিং।
পরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ ভাবনার ঘাটতির জন্য টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের এই করুণ পরিণতি। এমনটাই তো হওয়ার ছিল। এবার গৌতম গম্ভীর কি খেলা দেখান, সেটাই দেখার ব্যাপার।