সেই হাসানুজ্জামানের ফেরা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলেছিলেন খুলনা টাইটান্সের হয়ে। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে খেলতেন খোদ মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে। অনেক সম্ভাবনাময় ছিলেন, ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে জানতেন, টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন কার্যকর। কিন্তু, কোথায় যেন ছন্দপতন হল। মাঝের তিন-চার বছর আড়ালেই ছিলেন। বিপিএলে ছিলেন না, প্রিমিয়ার লিগে দল পাননি এমন ঘটনাও ঘটেছে। তবে, একটু দেরিতে হলেও ফিরলেন হাসানুজ্জামান। সাথে ফিরলো তাঁর ব্যাটিং ঝড়।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলেছিলেন খুলনা টাইটান্সের হয়ে। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে খেলতেন খোদ মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে। অনেক সম্ভাবনাময় ছিলেন, ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে জানতেন, টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন কার্যকর। কিন্তু, কোথায় যেন ছন্দপতন হল। মাঝের তিন-চার বছর আড়ালেই ছিলেন। বিপিএলে ছিলেন না, প্রিমিয়ার লিগে দল পাননি এমন ঘটনাও ঘটেছে।

তবে, একটু দেরিতে হলেও ফিরলেন হাসানুজ্জামান। সাথে ফিরলো তাঁর ব্যাটিং ঝড়।

ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবের দেওয়া ২০০ রানের লক্ষ্যটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। জয় পেতে হলে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান করতে হতো পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে এই অসাধ্য সাধন প্রায় করেই ফেলেছিলেন হাসানুজ্জামান। কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।

দল হারলেও ৫২ বলে ১০৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন পারটেক্সের এই ওপেনার। রেলিগেশন লিগের রান উৎসবের এই ম্যাচে পারটেক্সকে ২৩ রানে হারিয়েছে ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব। এই ম্যাচে সেঞ্চুরি হতে পারতো আরো একটি। কিন্তু শেষের সমীকরণ মেলাতে না পেরে ৫৮ বলে ৯২ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাকিন আহমেদ।

ডিওএইচএসের দেওয়া ২০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রানেই রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান সায়েম আলম ও জনি তালুকদার। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে আব্বাস মুসাকে নিয়ে ১০২ রান যোগ করেন হাসানুজ্জামান। ৩১ রান করে মুসা ফিরে গেলেও লড়াই চালিয়ে যান হাসানুজ্জামান।

কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ৫২ বলে ১০৫ রান করে ফিরে যান তিনি। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে পারটেক্স। ডিওএইচএসের পক্ষে তিনটি উইকেট শিকার করেন আব্দুর রশিদ।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ওল্ড ডিওএইচএসকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন ও রাকিন আহমেদ। উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান যোগ করেন দুজন। ২৩ বলে ৩৪ রান করে আনিসুল ফিরে যাওয়ার পর মাহমুদুল হাসান জয় ৫ রান করে ফিরে গেলেও অপর প্রান্তে তান্ডব চালান রাকিন আহমেদ।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে মোহাইমিনুল খানকে নিয়ে যোগ করেন ১৩১ রান। এই জুটিতেই ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রানের পাহাড় গড়ে ওল্ড ডিওএইচএস। রাকিন ৫৮ বলে ৯২ রান করে ও মোহাইমিনুল ৩৫ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। পারটেক্সের পক্ষে একটি উইকেট শিকার করেন জুবায়ের হোসেন।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব: ১৯৯/২ (ওভার: ২০; রাকিন- ৯২*, আনিসুল- ৩৪, মোহাইমিনুল- ৫০*) (জুবায়ের- ৪-০-৩২-১)

পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ১৬৮/৮ (ওভার: ২০; হাসানুজ্জামান- ১০৫, মুসা- ৩১, জয়রাজ- ১৬*) (রশিদ- ৪-১-৩৪-৩)

ফলাফল: ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব ২৩ রানে জয়ী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...