অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য এখন বাংলাদেশের হাতে। খানিকটা অট্টহাসি আপনি চাইলে হেসেই নিতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা অন্তত সে কথাই বলছে। সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী দলের ভাগ্য ঝুলে আছে সেই ম্যাচের উপর, বিশেষ করে বাংলাদেশের উপর।
তিন ম্যাচ জিতে গ্রুপ-১ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। বাকি তিন দলেরই সুযোগ আছে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার। প্রথমত আফগানিস্তানের রাস্তা সবচেয়ে সহজ। কোন রকম জটিলতা নেই সেখানটায়। বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই তারা চলে যাবে স্বপ্নের সেমিফাইনালে।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া হয়ত চাইবে বাংলাদেশই ম্যাচটা জিতুক। অবশ্য অজিরা এটাও হয়ত প্রার্থণা করবে বাংলাদেশ যেন বড় ব্যবধানে জয়লাভ না করে। কেননা তখন যে আবার মিচেল মার্শদের পুড়বে কপাল। বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তাটা সংকীর্ণ। সরু সেই রাস্তাটায় সবচেয়ে বড় বাঁধা খোদ বাংলাদেশ দল।
কেননা দলের হতশ্রী পারফরমেন্সের কারণেই দর্শক-সমর্থকরা কোন রকম আশাই করছেন না দলকে নিয়ে। কিন্তু স্রেফ বাংলাদেশ দল চাইলেই যেতে পারবে সেমিফাইনালে। কিন্তু সেক্ষেত্রে করতে হবে অসাধ্য সাধন। জিততে হবে ৬২ বা তার বেশি রানের ব্যবধানে। তবে এর আগেও আছে শর্ত। নিদেনপক্ষে নিজেদের স্কোরবোর্ডে তুলতে হবে ১৬০ বা তার বেশি রান। পরে ব্যাট করলে ১২ ওভারের মধ্যে জিততে হবে ম্যাচটি।
বাংলাদেশের ব্যাটিং প্রদর্শন অন্তত ১৬০ রান করবার স্বপক্ষে করছে না অবস্থান। তাছাড়া ১২ ওভারের মধ্যে জিততে পারাটাও আকাশ-কুসুম স্বপ্ন। যদিও কিংসটাউনে বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবারের বিশ্বকাপে। আগামীকাল সেই মাঠেই খেলতে নামবে তারা আফগানদের বিপক্ষে। জয় পাওয়া ম্যাচটি বাংলাদেশ খেলেছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচটিতে সাকিব আল হাসানের ফিফটির কল্যাণে ১৫৮ রান করেছিল টাইগাররা।
সেই ম্যাচটিতে বাংলাদেশ জিতেছিল ২৫ রানের ব্যবধানে। তবে এরপরে আর কোন ম্যাচেই ১৫০ রানের গণ্ডি ছাড়ায়নি কিংসটাউনে। অবশ্য আফগানিস্তানও ছেড়ে কথা বলবে না নিশ্চিতরুপেই। কেননা এই কিংসটাউনেই তো আফগানরা অজি বধের রুপকথার জন্ম দিয়েছিল। তাতেই তো সৃষ্টি হয়েছে এতসব জটিলতার।
তাইতো সুপার এইটের শেষ ম্যাচ রীতিমত নকআউট। একটি ম্যাচের উপর ঝুলে আছে তিনটি দলের ভাগ্য। অজিরা বাংলাদেশের জয় চাইবে। কিন্তু বাংলাদেশ সেমিফাইনালের দিকেই রাখবে চোখ। রাখবে তো?