পান্ত ধাঁধার সিডনি অধ্যায়

আউট হওয়ার আগে মোমেন্টাম দিয়ে গেছেন ভারতকে। ৩৩ বলে করে গেছেন ৬১ রান! স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৮৫! এই ধাঁধার সমাধান বোঝার সাধ্য কার!

ড্যান্সিং ডাউন দ্য ট্র্যাক! স্ম্যাশ ইট ওভার মিড অন! দ্যাটস ঋষাভ পান্ত ফর ইউ! কে বলবে, পান্ত মশাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন নিজের ইনিংসের একদম প্রথম ডেলিভারিতেই।

এক বল আগেই ফিরে গেছেন বিরাট কোহলি। সামনে তখন ত্রাস হয়ে উঠেছেন স্কট বোল্যান্ড। প্রথম তিনটা উইকেট এই বর্ষীয়ান পেসারই নিয়েছেন।

তখন বোল্যান্ডকে আটকানোর জন্য একটা ভ্যাকসিন আবিষ্কার জরুরী হয়ে উঠেছিল। পান্তের শট ওই ভ্যাকসিনের কাজটাই করে।

আর ভ্যাকসিন একবার নিয়ে ফেললে তাঁর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও তো হজম করতে হবে। আর সেটা হজম করতে হল অজি বোলারদের।

সবচেয়ে বেশি ঝড়টা গেল বেয়াউ ওয়েবস্টারের ওপর দিয়ে। তাঁর বিপক্ষে পরপর তিন চারে ভারতের লিড মুহূর্তের মধ্যে ১০০-এর ওপর চলে যায়।

এখানেই শেষ নয়, এক ওভার বাদে একই বোলারকে পরপর দু’বলে ছক্কা ও চার হাঁকান পান্ত। সিডনি কিংবা অস্ট্রেলিয়ার উইকেটগুলোই আসলে এমন, এখানে টিকে থাকতে হলে রান করতে হবে। উইকেট আগলে এখানে টিকে থেকে খুব বেশি সুবিধা করা যাবে না।

ইদানিং ঋষাভ পান্তের সবচেয়ে বড় সমালোচক বলা যায় খোদ সুনীল গাভাস্কারকে। অবিবেচকের মত আউট হওয়ার দায়ে পান্তকে তিনি ‘নির্বোধ’ বলেও গালমন্দ করেছেন। এবার অন্তত আর পান্তকে নির্বোধ বলার সুযোগ নেই।

প্রথম ইনিংসে ৯৮ বলে ৪০ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই পান্তই ২৯ বলে গিয়ে হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। টেস্টে ভারতের দ্রততম সেঞ্চুরি ২৮ বলের। সেটাও আবার ওই পান্তেরই দখলে। এই রেকর্ডটা তাঁর ব্যাটেই সবচেয়ে ভাল মানায়।

মিশেল স্টার্ককে ছক্কা হাঁকিয়ে পঞ্চাশের মাইলফলকে পৌঁছান। পরপর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে স্টার্ককেও রীতিমত হতাশ করেন তিনি। আসলে পান্ত এমনই। তিনি খেললে বাকিরা হতাশ হতে বাধ্য।

আউট হওয়ার আগে মোমেন্টাম দিয়ে গেছেন ভারতকে। ৩৩ বলে করে গেছেন ৬১ রান! স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৮৫! এই ধাঁধার সমাধান বোঝার সাধ্য কার!

Share via
Copy link