বৃষ্টি নাকি টস? রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ভাগ্য আটকে গেলো কিসে? ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ—কেন এমন দশা! বৃষ্টির বাধায় দুই ঘণ্টার বেশি দেরিতে মাঠে গড়ায় টস। পাঞ্জাব অধিনায়ক সিদ্ধান্ত নেন চেজ করার।
পেস আক্রমণ দিয়ে শুরু, পাওয়ারপ্লেতে আর্শদীপের শর্ট লেংথ অ্যাটাক। এখানেই থেমে যায় ভয়ংকর ফিল সল্ট।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই বড় শিকার—শর্ট বলে আঘাত হানে বিরাট কোহলির আত্মবিশ্বাসে।
অধিনায়ক পাটিদার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আরসিবির ব্যাটিং অর্ডার। আরসিবি শিবিরে তখন চিন্তার ভাঁজ—২০১৭ সালে ৪৯ রানের সেই কালো স্মৃতি কি আবার ফিরে আসবে?
তবে বাকি গল্পটা টিম ডেভিডের। ব্যাট হাতে এবারের আসরে যেন আরসিবির ত্রাতা হয়ে উঠেছেন তিনি। এক প্রান্তে লড়াই করে গেলেন একাই—মনে হচ্ছিল শেষটা দেখেই ছাড়বেন।
আর সেটাই করলেন ডেভিড, ইনিংসের শেষে ঝড় তুললেন ব্যাটে।
৯৫ রানেই থামে আরসিবির ইনিংস। উড়তে থাকা পাঞ্জাবের কাছে এই স্কোরটা মামুলি বলাই যায়।তবে ম্যাচটা জমিয়ে দেন আরসিবির বোলাররা। জশ হ্যাজেলউড আর ভুবনেশ্বর কুমার নামলেন অলআউট অ্যাটাকে।স্কোরবোর্ডে তখন পাঞ্জাবের ৫৩ রান ২ উইকেট। নিজের দ্বিতীয় ওভারে হ্যাজেলউডের আগ্রাসী বোলিং—ফলাফল, ৫৩ রানেই চার উইকেট। তবে কি আবারও আইপিএলে লো স্কোর ডিফেন্ড?
না, তেমন কিছু আর হয়নি। পাঞ্জাব ব্যাটার ওয়াধেরার কাউন্টার অ্যাটাক সামলে নিয়েছে সবকিছুই।
স্টয়নিসের জয়সূচক ছক্কা গোটা চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দেয়। পাঞ্জাব জয় পায় পাঁচ উইকেটে।
পাঞ্জাবের জয়রথ যেন থামছেই না—ব্যাটিং, বোলিং, সবকিছুতেই আয়ারের দল ‘১০০ তে ১০০’।
এবারের আসরে কোথায় থামবে তারা? অপেক্ষাটা সময়ের হাতেই থাকুক।