এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার অ্যাকিলিস হিল

জম্পেশ এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় গোটা ফুটবল বিশ্ব। কিন্তু বার্সেলোনার জন্য খানিক শঙ্কার কারণ রয়েছে।

জম্পেশ এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় গোটা ফুটবল বিশ্ব। এই মৌসুমের সবচেয়ে হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। এবারের এল ক্লাসিকো যোগ করেছে আলাদা মাত্রা। দুই দলই রয়েছে ফর্মের তুঙ্গে। তরুণ খেলোয়াড়দের ঝলকে মন্ত্রমুগ্ধ সকলে। তাইতো বাড়তি উন্মাদনার যোগান দিচ্ছে এই ম্যাচ।

কিন্তু বার্সেলোনার জন্য খানিক শঙ্কার কারণ রয়েছে। বার্সেলোনা এই মৌসুম এ তাদের চির পরিচিত ফর্মেশন ৪-৩-৩ থেকে সরে এসে ৪-২-৩-১ ফর্মেশন এ খেলতে শুরু করেছে। তাদের এই নতুন কৌশল এ তারা যুক্ত করেছে হাই লাইন ডিফেন্স। তারা তাদের এই নতুন কৌশল এ সাফল্যও পাচ্ছে প্রায় প্রতি ম্যাচে।

কিন্তু এই হাই লাইন ডিফেন্স খেলতে হলে তাদেরকে অনেক বিষয় মাথায় রেখে খেলতে হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অফ সাইড ট্র্যাপ। এই মৌসুমে বার্সেলোনা তাদের প্রতিপক্ষকে অনেক বার অফ সাইড এ ট্র্যাপ করতে পেরেছে।

পরিসংখ্যান বলছে বার্সা এই লালিগা মৌসুমে মোট ৬৫ বার তাদের প্রতিপক্ষ-কে অফ সাইড ট্র্যাপে ফেলতে পেরেছে, যা ইউরোপ এর শীর্ষ ৫ লিগের যেকোনো দল এর থেকে সব থেকে বেশি। তো বলাই বাহুল্য যে বার্সা তাদের এই নতুন কৌশলে সাফল্য পাচ্ছে।

বার্সেলোনা তাদের এই হাই লাইন ডিফেন্স নিয়ে এতদিন সাফল্য পেয়ে আসলেও রিয়াল মাদ্রিদ এর বিপক্ষে তারা বিপাকে পড়তে পারে। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে তারা খেলার প্রথম দিকে অনেকটা হিমশিম খেয়েছে। আর তার কারনেই তারা প্রথম গোল দেওয়ার পরেও কিছুক্ষণের মধ্যেই বায়ার্ন সমতায় চলে আসে।

তারপর প্রথমার্ধের অনেকটা সময় বায়ার্ন তাদারকে অনেকটা চাপের মুখেও রেখেছিল। এমনটা হওয়ার পেছনে সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে বায়ার্নের দ্রুত গতির ফরোয়ার্ড। বায়ার্নের এই ফরোওয়ার্ডদের ডিফেন্স চেড়া দৌড়কে বার্সেলোনার ডিফেন্ডাররা সময় মতো ট্রাক ব্যাক করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

এর প্রতিফলনে তাদের ১টি গোল হজম করতে হয়। রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ডরাও অনেক দ্রুত গতির। তাদের দলে ভিনিসিয়াস, এম্বাপ্পে এবং বেলিংহামরা রয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোওয়ার্ড লাইনকে আটকাতে বার্সেলোনার হাই লাইন ডিফেন্সকে একটু হলেও চিন্তিত থাকতে হবে।

বায়ার্নের সাথে ম্যাচটাতে আরেকবার নজর দিলে দেখা যাবে, প্রথমদিকে বার্সা একটু হিমসিম খেলেও কিছুক্ষণ পর তারা ধাক্কাটি সামলে নিয়েছিল। এর পিছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে বার্সার দুই পিভট/ডিফেন্সিভ মিডকে ডিফেন্স লাইন এর কাছাকাছি নিয়ে আসা।

এর ফলে সেন্টার ব্যাক প্রতিপক্ষের ফরোওয়ার্ডকে মার্ক করতে ব্যর্থ হলে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ট্রাক ব্যাক করে ট্যাকল করতে পেরেছে। তাদের আরেকটা কৌশল হচ্ছে বিপরীত দল এর মিড থেকে বল সামনের দিকে অগ্রসর হতে না দেওয়া।

বার্সেলোনা তাদের প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডকে হাই প্রেস করার মাধ্যমে প্রতিপক্ষের অর্ধেই বল জিতে নিচ্ছিল। এর ফলে প্রতিপক্ষ আক্রমণ তৈরি করার সুযোগই পাচ্ছিলো না। যার ফলে পরবর্তীতে বার্সেলোনা আবারও ম্যাচে ফেরে এবং নাস্তানাবুদ করে বায়ার্নকে।

রিয়াল মাদ্রিদের সাথেও প্রায় একই ভঙ্গিমায় হাইল লাইন ডিফেন্সের কার্যকারিতা কাজে লাগাতে হবে হ্যান্সি ফ্লিকের দলকে। নতুবা রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ডদের গতির সামনে মুখ থুবড়ে পড়বে বার্সেলোনার গোলবার।

Share via
Copy link