পেস বোলারদের খনিই বলা যায় পাকিস্তানকে। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, আকিভ জাভেদদের পর শোয়েব আক্তারদের প্রজন্ম হয়ে এখন শাহিন আফ্রিদি হারিস রউফরা পাকিস্তানের পেস বোলিং ব্যাটনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দুর্দান্ত গতিতে। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইনদের মত এই প্রজন্মের পেস বোলারদের মধ্যেও গতির কারণে আলাদা নজরে থাকেন হারিস রউফ।
২৯ বছর বয়সী হারিস রউফ সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের অন্যতম মূল ভরসা হয়ে উঠেছেন ইতোমধ্যেই। সাদা বলে দুর্দান্ত হারিসের টেস্ট ডেব্যুও হয়েছে ইতোমধ্যেই। নিয়মিতই ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারার অসাধারণ দক্ষতার কারণে অন্য সবার চেয়ে কিছুটা আলাদা হারিস।
হারিস রউফে বিভিন্ন সময় মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন দেশ বিদেশের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। এবার পাকিস্তানের সাবেক পেসার ও পিএসএলের দল লাহোর কালান্দার্সের কোচ আকিব জাভেদ বললেন, পাকিস্তানে হারিসের মত ডায়েট মেনে চলেন এমন আর কাউকে দেখেন না তিনি।’
পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের কোচ হিসেবে হারিসকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন আকিব। এবারের পিএসএলেও হারিস ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। লাহোরকে টানা দ্বিতীয় পিএসএল শিরোপা জেতাতেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ১৩ ম্যাচ খেলে ২৫.৭০ গড়ে ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আকিব জাভেদ বলেন, ‘পাকিস্তানের অন্য কোনো বোলারকে হারিসের মত ডায়েট মেনে চলতে দেখে না আমি। তাঁর মত এমন চমৎকার লাইফস্টাইল নেই আর কারো।’
কদিন আগেই রংপুর রাইডার্সের হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলে গেছেন হারিস রউফ। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন একজন পেস বোলারের জন্য ডায়েট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এর আগেও এক সাক্ষাৎকারে হারিস বলেছিলেন প্রতিদিন ২৪ টি ডিম খান তিনি।
সহজাত গতির সাথে বোলিংয়ে গতি আরো বাড়াতে ডায়েট ও লাইফস্টাইল ঠিক করার বিকল্প নেই বলেও জানিয়েছিলেন হারিস। নিজের খাদ্যাভ্যাস আর জীবনাচরণকে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পরিচালনা করেই সফল হচ্ছেন তিনি। অভিষেকের মাত্র কয়েক বছরেই এখন বিশ্বজুড়ে ব্যাটারদের জন্য বিপদই সৃষ্টি করে যাচ্ছেন বিশ্বের সব প্রান্তে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়ানো এই পেস বোলার।