বাবরের বিষয়ে যা করার ভেবে করুন

উপমহাদেশের দেশ গুলোতে অধিনায়কত্ব করাটা বেশ কঠিন সেটা অনায়াসে স্বীকার নেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট যে কেউ। অনেকে বলে থাকেন ভারতের অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনির তো ৩০ বছর বয়সেই চুল পেকে গেছিলো ভারতের ১২০ কোটি মানুষের প্রত্যাশার চাপ সামলাতে।

কাজটা সহজ নয় পাকিস্তানের অধিনায়কদের ক্ষেত্রেও। পান থেকে চুন খসলেই পড়তে হয় দর্শকদের রোষানলে। এই যেমন বাবার আজম; প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটার তাঁকে বলা যায় নির্দ্বিধায়। কিন্তু, অধিনায়কত্ব নিয়ে যেন তাঁর সমালোচনার শেষ নেই।

বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনাটা দীর্ঘদিনের। পাকিস্তানের সাবেক খেলোয়াড় ও ক্রিকেট বোদ্ধাদের অনেকেই দলের সেরা ব্যাটারকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেবার পক্ষে। অনেকে তো নিজের পছন্দের অধিনায়কের নামও জানিয়ে দিয়েছেন। তবে বাবর আবার পাশে পাচ্ছেন বেশ কয়জন সাবেক ক্রিকেটারকেও। অনেকে আবার মত দিচ্ছেন সাদা ও লাল বলের জন্য আলাদা অধিনায়ক নিয়োগ করার পক্ষে।

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও কোচ মিসবাহ উল হক বাবরের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। মিসবাহ মনে করেন হুট করেই বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে না। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া না হলেও মিসবাহ আগেই সাবধান করেন দিলেন এ বিষয়ে। মিসবাহ মনে করেন, এই ধরণের সিদ্ধান্ত পুরো দলের ওপর বড় ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে।

মিসবাহ বলেন, ‘অধিনায়ক হোক বা অন্য কোনো খেলোয়াড়, আমাদের প্রথমে পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে এবং চাপে পড়ে বা আশপাশের কথা শুনে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। যে ই অধিনায়ক হোক না কেন, পরিবর্তন আনতে হলে পুরো পরিস্থিতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

বাবরের অধিনায়কত্ব পাকিস্তান ক্রিকেটে বহুল চর্চিত বিষয় বেশ কিছু সময় ধরে। দলের সেরা ব্যাটারের ওপর থেকে অধিনায়কত্বের চাপ তুলে নেয়া উচিত কিনা সে আলোচনাও আছে। আবার এই মুহূর্তে অধিনায়কত্ব কেড়ে নিলে সেটা বাবর কিভাবে নেবেন সেটিও ভাববার বিষয়। তাই পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ দলের ওপর যেন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়ে সাবধান করলেন পিসিবিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link