মোটে ১৭ ম্যাচের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার টনি ডি জর্জির। এর মধ্যে অষ্টম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই খেলে ফেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। নিজের প্রথম টেস্ট শতককে নিয়ে যাচ্ছিলেন দ্বি-শতকের দিকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আউট হয়েছেন ১৭৭ রানে। তবে একটা স্টেটমেন্ট অবশ্য দিয়ে রাখলেন জর্জি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতেই সংগ্রাম শুরু করে দিয়েছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার।
চট্টগ্রাম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে আরাম কেদারায়। বিশাল রান সংগ্রহ গড়েছে প্রোটিয়ারা। যার কৃতিত্ব অবশ্যই টনি ডি জর্জির প্রাপ্য। ওপেনিংয়ে নেমে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করেছেন জর্জি। ২৬৯ বল খেলেছেন তিনি। সাগরিকার ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের পূর্ণ সাহায্য নিয়েছেন প্রোটিয়া এই ব্যাটার।
প্রথম দিনেই বিশাল বড় এক জুটি গড়ে ফেলেন তিনি। ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গী করে ২০১ রানের জুটি গড়েন। সে জুটিই মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার পোক্ত ভিত গড়ে দিয়েছে। এরপর অবশ্য স্টাবস ফিরেছেন ১০৬ রানে। কিন্তু অবিচল থেকেছেন জর্জি।
পরবর্তী ব্যাটার ডেভিড বেডিংহামের সাথেও শতরান ছাড়ানো জুটি গড়েন টনি ডি জর্জি। ১১৬ রানের জুটি গড়তে ব্যক্তিগত ১৫০ রানের মাইলফলকও ছাড়িয়ে যান জর্জি। যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ২০০ রানের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলবেন বলেই মনে হচ্ছিল।
কিন্তু দলের পরিকল্পনার সাথে তাল মেলাতে গিয়ে উইকেট খুইয়েছেন জর্জি। তাইজুল ইসলামের বলে সুইপ শট খেলতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। অনুকূল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শতকের আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন।
এর আগে দুই ইনিংসে ৮৫ ও ৭৮ রানে থামতে হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে এসে নিজের সক্ষমতার জানান দিয়ে গেলেন টনি ডি জর্জি। তাছাড়া একটা রুদ্ধ দুয়ারও খুলে দিয়েছেন তিনি।