ব্যাট হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন, প্রতিপক্ষের ঘাড় মটকে দেন – ট্রাভিস হেডের এমন রূপ অজানা নয় কারো কাছেই। তবে এবার নিজের পরিচয় বদলে ভিন্ন পরিচয়ে আবির্ভাব ঘটলো তাঁর; স্বভাবসুলভ প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করার কাজটাই করলেন কিন্তু ব্যাটার হিসেবে নয় বরং বোলার হিসেবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ড তখন উল্কা বেগে ছুটছিল, অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক আর ওপেনার বেন ডাকেটের তান্ডবে ২৫ ওভারেই দুইশ রানের গন্ডি পেরিয়ে যায় তাঁরা। ব্রুক আউট হলেও ডাকেট চলতে থাকেন আপন গতিতে, ৩৩ ওভারে দলীয় রান দাঁড়ায় ২৩১!
ঠিক তখনি অজি কাপ্তান স্টিভ স্মিথ বল তুলে দেন ট্রাভিস হেডের হাতে, এরপর যা ঘটলো সেটা বোধহয় ইংলিশরা কল্পনাও করতে পারেনি। নিজের প্রথম ওভারেই সেঞ্চুরিয়ান ডাকেটকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তিনি, পরের ওভারে উইকেট না পেলেও তৃতীয় ওভারে স্বাগতিকদের শেষ স্বীকৃত ব্যাটার জ্যাকব ব্রেথেলকে আউট করেন।
এই অফ স্পিনারের এমন দুর্ধর্ষ বোলিংয়ে মোমেন্টাম তখনি পেয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া; তবে এতটুকুতেই ক্ষান্ত হননি তিনি। ইংল্যান্ডের লোয়ার অর্ডারের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নও ধূলিসাৎ করে দিয়েছেন। ব্রাইডন কার্স আর আদিল রশিদের উইকেট গিয়েছে তাঁর ঝুলিতেই।
সবমিলিয়ে ৬.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে চার চারটি উইকেট শিকার করেছেন এই তারকা, বিনিময়ে খরচ করেছেন মাত্র ২৮ রান। স্টার্ক, হ্যাজলউড দুজনেই ছিলেন উইকেট শূন্য, অ্যাডাম জাম্পা দিয়েছেন ৭৪ রান – এমন দিনে তাঁর বোলিং ফিগার ঈর্ষান্বিত করবে যেকোনো পার্ট টাইমারকেই!
টার্ন আর নিয়ন্ত্রিত লাইন লেন্থে জাদু দেখিয়েছেন বোলার হেড। নিয়মিত বোলারদের আগামীতে এমন কঠিন দিন হয়তো আরো আসবে, সেসব চাপের ক্ষণে অধিনায়কের ভরসা বারবার তিনি উদিত হবেন এটাই সমর্থকদের প্রত্যাশা।