লিওনেল মেসির জীবনের গল্প বলতে গেলেই সবার আগে বলতে হয় একটা ন্যাপকিনের কথা। যেখানে স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে বদলে গিয়েছিল বার্সেলোনার ইতিহাস, বদলে গিয়েছিল লা লিগার ইতিহাস। আসলে মেসিই বদলে দিয়েছেন, তাঁর এক জোড়া পায়ের জাদুতে স্প্যানিশ সাম্রাজ্য বাধ্য হয়েছে কুর্নিশ করতে।
লা লিগার জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদকে কতবার কাঁদিয়েছেন তিনি সেটার হিসেব নেই; অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ কিংবা ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষেও দেখা গিয়েছে তাঁর ভয়ঙ্কর সুন্দর পারফরম্যান্স। সবমিলিয়ে লা লিগার ক্যারিয়ারে ৪৭৪ গোল করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, যা কি না লিগ টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
নিজের ক্যারিয়ারে স্প্যানিশ লিগের মোট চল্লিশটি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি, এদের মধ্যে ৩৮টি ক্লাবের বিপক্ষে গোল করেছিলেন। কিন্তু বাকি দুই ক্লাবের বিপক্ষে উদযাপন করার সুযোগ আসেনি। সেই দুই ক্লাবকে নিয়ে খানিকটা জানা যাক।
- জেরেজ সিডি
২০০৯-১০ মৌসুমে জেরেজ সিডি লা লিগাতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। আসরের দুই ম্যাচ ডেতেই বড় জয় পেয়েছিল পেপ গার্দিওলার দল। কিন্তু লিওনেল মেসি দুইবারই ব্যর্থ হয়েছেন জালের দেখা পেতে। যদিও টিম ম্যানেজম্যান্টের সিদ্ধান্ত এখানে ভূমিকা রেখেছে, দুই ম্যাচেই তাঁকে বদলি হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে নামানো হয়েছিল।
দলটা অবশ্য এখন আর লা লিগায় খেলার সুযোগ পায় না, স্পেনের ঘরোয়া ফুটবলে অবনমত হতে হতে তাঁদের স্থান এখন চতুর্থ বিভাগে। এছাড়া আর্থিকভাবেও ভাল নেই তাঁরা।
- মুর্সিয়া
২০০৮ সালে প্রথমবারের মত মুর্সিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা। সেদিন দুই দুইবার সতীর্থকে গোল করার সুযোগ করে দিলেও নিজে গোল করতে পারেননি এলএমটেন।
উল্লেখ্য যে, সেই ম্যাচটিই ছিল ডাচ কোচ ফ্রাঙ্ক রাইকাডের ব্লাউগানাদের হয়ে ডাগআউটে শেষ উপস্থিতি। এই কোচই মেসিকে যুব দলকে মূল দলে টেনে এনেছিলেন, অনুশীলনে গুরুত্ব দিয়েছিলেন তাঁকে। এভাবে বিশ্বাস রাখার ফলেই জন্ম নিয়েছে আজকের মেসি, লিওনেল আন্দ্রেস মেসি।