গ্যালারির দিকে তাকিয়ে উদযাপন করলেন বিরাট কোহলি। চোখ তাঁর বন্ধুর দিকে। বন্ধুর নাম এবি ডি ভিলিয়ার্স। মাঠে শিরোপা জিতলেন কোহলি। মাঠের বাইরে বসে জিতলেন এবিডি। একদিকে শিরোপার উল্লাস, অন্যদিকে চোখে জল। দুই জায়গা থেকেই জিতে গেলেন দুই বন্ধু।
এক সময় এই দুইজনের ব্যর্থতা নিয়েই গড়া হয়েছিল ট্র্যাজেডির গল্প। আজ সেখানে লেখা হলো জয়গাথা। ‘এ সালা কাপ নামদে’—ব্যাঙ্গালুরুর স্লোগান।
কিন্তু, কোহলি সেটা নিষিদ্ধ করেছিলেন। কারণ, ওটা নিয়ে ট্রল হতো, শিকার হতেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। আজ আর ট্রল নয়। আজ সত্যিই কাপ নামিয়ে এনেছে তাঁর দল।
পুরনো সেই বন্ধুর উপস্থিতি যেন মাঠের বাইরে থেকেও প্রেরণায় আগুন ধরাল। ২০১৪ সাল থেকে একসাথে পথচলা। দুটো নদীর মতো মিলেছিলেন এক মোহনায়।
ক্রিকেটের কঠিন ভূমিতে ফসল ফলিয়েছিলেন—প্রতিভা আর বন্ধুত্বের। এবিডি আগলে রেখেছিলেন বিরাটের নরম মনটা। কোহলি নিজের অজান্তেই দিয়ে ফেলেছিলেন বড় ভাইয়ের জায়গা।
ভিভ-ইয়ান বোথামের পর ক্রিকেট আবার পেল বন্ধুত্বের বসন্ত। দাম্ভিক বলা হতো যাঁকে, সেই কোহলি নির্দ্বিধায় ভিলিয়ার্সকে আইকন মানেন। ভালবাসাটা ফিরিয়ে দেন এবিডি। শিরোপা জিতে কোহলি বলেন, ‘ব্যাঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য এবিডি যা করেছেন, তা বলে বোঝানো যাবে না।’
এবিডি হঠাৎ বিদায় নিলেন ক্রিকেট থেকে। ভেঙে পড়েছিলেন কোহলি। কিন্তু লাল জার্সি পরে যখনই নামতেন মাঠে, তখন আবার রঙ-তুলি দিয়ে লেখা হত ক্রিকেটের নতুন রূপকথা। এক জঙ্গলে দুই সিংহ থাকলে সব সময় যুদ্ধ হয় না, কখনও কখনও তাঁরা বন্ধুও হন। আর বন্ধুত্ব দিয়ে যুদ্ধ জয় করা যায়।