উগান্ডাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘শিশু’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান। নামের ভারে শিশু হলেও, প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করতে উগান্ডা পিছনে ফেলে এসেছে জিম্বাবুয়ের মত টেস্ট খেলুড়ে দেশকে।
তবে, বিশ্বকাপ শুরুর আগেই আইসিসি যেন মনে করিয়ে দিতে চেয়েছে উগান্ডা ছোট দল, বাধ্য করা হয়েছে টি-টিয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি বদলে ফেলতে। ৩ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে গায়ানায় শুরু হচ্ছে উগান্ডার বিশ্বকাপ মিশন।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে উগান্ডা ক্রিকেট এ্যাসোসিয়েশন আয়োজন করেছিলো জার্সি ডিজাইন প্রতিযোগিতার। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় এলিজাহ মাঙ্গেনির হলুদ রঙের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা জার্সি ডিজাইন।
যার লোগোতে ফুটে উঠেছে উগান্ডার জাতীয় পাখি মেটেঝুটি সারসের প্রতীক। জার্সির হাতায় ব্যবহার করা হয়েছে পাখিটির পালকের সদৃশ লাল এবং কালো রঙের ডিজাইন।
নিজের ডিজাইনকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মাঙ্গেনি বলেন, ‘আমার ডিজাইনটিতে আভিজাত্যের সাথে শক্তিমত্তাকে মেলানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা আমাদের হার না মানার মানসিকতাকে প্রকাশ করে। উজ্জ্বল রঙয়ের সমন্বয় আমদের জাতিগত ঐক্যের নির্দেশক। জার্সিতে রাজসিক সারস পাখির পালকের উপস্থিতি আমাদের শক্তি এবং সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটায়।’
যতসব বিপত্তি বাঁধে জার্সির হাতায় ব্যবহৃত পাখির পালকের ডিজাইন নিয়েই। আইসিসি নির্দেশ জানায়, স্পন্সরদের লোগো স্পষ্ট দেখা চাই, বাদ দিতে হবে পালকের ডিজাইন। তাড়াহুড়ার বদলে যায় উগান্ডার প্রথম বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করা প্রথম জার্সির ডিজাইন।
উগান্ডা ক্রিকেট বোর্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুসালি ডেনিস জানান, ‘আইসিসি আমাদের জার্সির ডিজাইন পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে কিন্তু আমাদের হাতে সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইন করার জন্য যথেষ্ট সময় ছিলো না। আমাদের বাধ্য হয়ে বিজয়ী ডিজাইনটিকে পরিমার্জন করতে হয়।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে প্রকাশ করা হয় উগান্ডার পরিমার্জিত নতুন জার্সি। সেই অনুষ্ঠানেই মুসালি আরো যোগ করেন, ‘আমরা মূল ডিজাইনের প্রায় ২০ শতাংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়েছি, বাকি অংশের ডিজাইন একই থাকছে।’
উগান্ডার নতুন জার্সিও এখন আলোচনার তুঙ্গে। উগান্ডার খেলোয়াড়েরা জার্সি বদলের সুযোগ পেয়েছে খোদ অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে খেলতে আসা একটি দলের জন্য বিশ্বকাপ শুরুর আগেই এর থেকে বড় সৌভাগ্য আর কি-ই বা হতে পারে?