টিম সাউদি কিংবা ট্রেন্ট বোল্টের মত উচ্চারিত হয় না তাঁর নাম, সেরা সেরা পেসারদের নিয়ে আলোচনায় খুব একটা শোনা যায় না তাঁর নাম। তবে ম্যাট হেনরি নিজের কাজটা ভালোই জানেন, জানেন প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দিতে৷ এইতো ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকেই লজ্জার সাগরে ডুবিয়ে মারলেন তিনি।
আদ্র পরিবশ আর বৃষ্টি-বিঘ্নিত আবহাওয়া পেয়ে পুরাদস্তুর দানবীয়-রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন এই তারকা। ১৩.২ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন, খরচ করেছেন ১৫ রান; বিনিময়ে শিকার করেছেন পাঁচ পাঁচটা উইকেট। সরফরাজ খানকে দিয়ে শুরু, এরপর ঋষাভ পান্তের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট গিয়েছে তাঁর ঝুলিতে, দুই ইনফর্ম অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা আর রবিচন্দন অশ্বিনকেও ফিরিয়েছেন তিনি।
সবশেষে কুলদীপ যাদবকে ফিরিয়ে ভারতের ইনিংসের সমাপ্তি টানেন এই কিউই পেসার। সেই সাথে পূর্ণ করেন ফাইফার, টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তাঁর চতুর্থ ফাইফার।
শুধু তাই নয়, কুলদীপকে আউট করার মধ্য দিয়ে ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাটে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি। এজন্য মাত্র ২৬ ম্যাচ খেলতে হয়েছে তাঁকে। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে এর চেয়ে দ্রুত শততম উইকেটের দেখা পেয়েছেন কেবল একজন – রিচার্ড হ্যাডলি, এক টেস্ট কম খেলতে হয়েছে তাঁকে। এছাড়া নেইল ওয়াগনারের লেগেছে হেনরির সমান ২৬ ম্যাচ।
সাদা পোশাকে হেনরির জন্য কাজটা অবশ্য সহজ ছিল না। ওয়াগনার, বোল্ট, সাউদিসহ একগাদা পেসারের ভীড়ে তিনি কখনোই প্রথম পছন্দ ছিলেন না। নয় বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র ২৬ টেস্ট সেই কথাই বলে। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি, যখনি সুযোগ পেয়েছেন নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন – তবে ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে ফাইফার সম্ভবত পুরনো সব স্মৃতিকে একটু ম্লান করে দিবে; এমন অর্জন কয়জনেরই বা আছে!
ব্ল্যাকক্যাপস ইতিহাসেই তো অনন্য এই ডান-হাতি, কিউই বোলারদের মধ্যে ভারতের মাটিতে চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগারের মালিক এখন তিনি। সিরিজের বাকি দিনগুলোতে এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে আরো বিধ্বংসী হওয়ার জ্বালানি দিবে তাঁকে।