মেঘে ঢাকা চট্টগ্রামের আকাঙ্ক্ষিত সূর্যের আলো হয়ে ধরা দিলেন উসমান খান। পাকিস্তানি ব্যাটারের কল্যাণে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম কিংস পেয়েছে শুভ সূচনা। উসমানও সুযোগের পূর্ণ ফায়দা তুলে নিয়েছেন। নিজের ফর্মকে ‘রাইট ট্র্যাক’-এ ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। তাইতো তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে তিন অংকের রান।
সাম্প্রতিক ফর্মটা মোটেও ভাল যাচ্ছিল না উসমান খানের। পাকিস্তানের জার্সি গায়ে তিনি ছিলেন ভীষণ নিষ্প্রভ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভুগেছেন ভীষণ রান খরায়। এরপরই তিনি খেলতে নেমেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ।
প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৮ রানে থেমেছিল তার ইনিংস। ব্যাট হাতে সেদিনটা ভাল কাটেনি তার। দলও সম্ভবত সে কারণেই শেষ অবধি পায়নি জয়ের দেখা। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৩৭ রানে হেরেছিল উসমানের দল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই তিনি দেখিয়েছেন কেন পাকিস্তান দল তাকে নিজেদের হয়ে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে খেলার কথা ছিল তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। কিন্তু বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে হাতছাড়া করতে চায়নি পাকিস্তান। যে সক্ষমতা পাকিস্তানকে বাধ্য করেছিল তাকে দলে নিতে, সেই সক্ষমতার বর্ণিল প্রদর্শন করলেন তিনি বিপিএলের মঞ্চে।
যদিও বিপিএলে বরাবরই দারুণ ছন্দে থাকেন তিনি। ২০২৩ বিপিএলে খেলতে এসেই তিনি সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জার্সি গায়ে। এরপর সেই মৌসুমে একটি ফিফটিও ছিল তার নামের পাশে। সেই ধারা তিনি অব্যাহত রাখলেন যেন একাদশ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও।
নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই তিনি দেখিয়েছেন তার ব্যাটিং দক্ষতা। চট্টগ্রামকে একটা উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন। পারভেজ হোসেন ইমনের দ্রুত বিদায়ের পর দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের উপর চড়াও হন উসমান খান। তাতে করে এবারের বিপিএলে প্রথম পাওয়ার প্লে-তে সর্বোচ্চ রান যুক্ত হয় চট্টগ্রামের স্কোরবোর্ডে।
কিন্তু সেখানেই থেমে থাকেননি উসমান। মারকুটে ব্যাটিংয়ে তিনি দলের সংগ্রহ বাড়িয়ে নিতে থাকেন। তাতে করে বিপিএলের ইতিহাসে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে একাধিক সেঞ্চুরির মালিক বনে যান তিনি। ক্রিস গেইল সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরি নিয়ে এখনও রয়েছেন সবার উপরে।
তিনি তার ব্যাটিংয়ের কল্যাণে রাজশাহীর জন্যে একটা বন্ধুর পথ সৃষ্টি করেন। প্রথম ইনিংসেই স্বাগতিকদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছেন উসমান খান। এই সক্ষমতাতেই তো অভিভূত হয়েছিল পাকিস্তান, সে সাথে চট্টগ্রামও।