শান্তর ছুড়ে আসা উইকেটে বিস্ময়ের ঝড়

প্রথম সেশনের শেষটা হতে পারতো টাইগারদের একক আধিপত্যেই। কিংবা অধিনায়ক হিসেবে শান্তর সাবলীল ইনিংসটার ব্যপ্তি গড়াতে পারতো পরের সেশনেও। কিন্তু দুটোর কোনোটিই হয়নি গ্লেন ফিলিপসের এক ফুলটসে।

দারুণ খেলতে থাকা শান্তর ইনিংসের ‘অপমৃত্যু’ ঘটে ৩৭ রানে। আর সেই আউটেই প্রথম সেশনে ২ উইকেটে খুইয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য এ দিন ‘বাজবলের’ আদলে ‘শান্তবল’-এর স্বাক্ষী হয়েছে সিলেট। 

৩৫ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলার পথে ২৬ রানই তুলেছেন বাউন্ডারি থেকে। চারের চেয়ে মেরেছেন ছক্কা বেশি। ২ চারের বিপরীতে ৩ বার বল পাঠিয়েছেন সীমানার ওপারে। 

অবশ্য শান্তর সেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে কাল হয়ে এসেছে তাঁর ইনিংস। দারুণ সম্ভাবনায় ঘেরা ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। তার চেয়েও বড় ব্যাপার, আউটের ধরন নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই এখন অনুমিত।

দলের এমন মুহূর্তে ফুলটস বলে ওমন শট খেলার আদৌ প্রয়োজনীয় ছিল কি? সেটাই এখন প্রশ্নের কাঠগড়ায়।  

ইনিংসের শুরুতে রয়েশয়ে শুরু করেছিল দুই ওপেনার জাকির আর মাহমুদুল হাসান জয়। তবে কিউই স্পিনারদের বিপক্ষে কিছুটা নড়বড়েই ছিলেন জাকির। তার পরিণামে আউটও হয়ে সাজঘরে ফিরে যান দ্রুতই। 

তবে তিন নম্বরে নেমে ইনিংসের চিত্রটাই আমুল বদলে দেন নাজমুল হোসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্রিজে এসেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন তিনি।

যা, শুরুটা হয়েছিল প্যাটেলের বিপক্ষে লং অনের ওপর ছক্কা দিয়ে। এক বল পরই আবারও ডাউন দ্য উইকেটে এক্সট্রা কভার দিয়ে মারেন চার। শান্তর ব্যাটিং তাণ্ডবের শুরুটা সেখানেই। 

সেই প্যাটেলকেই আবারো এগিয়ে ছক্কা হাঁকান শান্ত। সুইপ, রিভার্স সুইপে দিশেহারা করে তোলেন কিউই স্পিনারদের। এর মাঝে স্লগ সুইপেও প্যাটেলের বলে আরো একটি ছক্কা মারেন তিনি। 

তবে শেষ পর্যন্ত শান্তর ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে কিছুক্ষণ বাদেই। ফিলিপসের ফুলটস বলটা উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন শান্ত। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর সীমানা অতিক্রম করতে পারেনি। কেন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ দলপতি। 

তবে বড্ড অসময়েই যেন আউট হয়েছে শান্ত। স্পিনটা ভাল খেলছিলেন। বাকি সেশনগুলোতে পেসারদের কার্যত সুবিধার জায়গা গুলোও কমে আসতো।

কিন্তু, দারুণ ইনিংসের সম্ভাবনা জাগিয়েও শান্ত আক্ষেপের কারণ হয়েই মাঠ ছাড়েন। ৩৭-এই সমাপ্তি শান্তর ইনিংসের। যেটা হতে পারতো দুর্দান্ত একটা ইনিংস। তাতে শান্ত যেমন সমৃদ্ধ হতে পারতেন, বাংলাদেশের ইনিংস গড়াতে পারতো বড় সংগ্রহের পথে।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link