নিশ্চিত ছিলেন ব্যালন জিতবেন, কিন্তু কি যেন ঘটে গেল। অদৃশ্য একটা শক্তি বদলে দিলো দৃশ্যপট – ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সরাসরি ঘোষণা তিনি নিজেকে আরো ক্ষুরধার, এখনের চেয়ে আরো দশগুণ। সেই ঘোষণার প্রতিফলন ঘটলো এবার ওসাসুনার বিপক্ষে; ম্যাচের গল্প লেখা হয়েছে তাঁর এক জোড়া পায়ে।
বার্সেলোনার কাছে লজ্জার পরাজয়, এসি মিলানের কাছেও একই পরিণতি। সবমিলিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, ঠিক মুহূর্তেই জ্বলে উঠলেন স্টারম্যান ভিনি। এক, দুই, তিন; গুণে গুণে তিন গোল দিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলেন; দলকে ফেরালেন জয়ের পথে ৷ হারতে থাকা লস ব্ল্যাঙ্কোসরা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেললো তাতে।
ওসাসুনা অবশ্য আগ থেকেই এই লেফট উইঙ্গারের প্রিয় প্রতিপক্ষ, আগের নয় ম্যাচে পাঁচ গোল করেছেন তিনি। সেটাই হয়তো বাড়তি আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে তাঁকে। আর আত্মবিশ্বাসে ভর করে তিনি ছিঁড়েখুঁড়ে খেলেন ওসাসুনাকে, সম্ভবত আগের দুই ম্যাচে হারের ক্ষোভও ঝেড়েছেন।
জুড বেলিংহ্যামের পাস দিয়ে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছিলেন সাম্বা বয়। বেলিংহ্যামের বাড়ানো পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তিনি ঢুকে পড়েছিলেন ডি বক্সে, এরপর কাট ব্যাক করেই জোরালো শটে খুঁজে নেন জালের ঠিকানা।
পরের গোলে অবশ্য কৃতিত্ব দিতে হয় আন্দ্রে লুনিনকে, ডেড বল থেকে একটা লফটেড পাসেই তিনি পুরো ডিফেন্স লাইনকে ফাঁকি দিয়ে বল পৌঁছে দিয়েছিলেন ভিনির পায়ে, বিদ্যুৎ গতি কাজে লাগিয়ে বাকি কাজ সহজেই সেরেছেন এই উইঙ্গার।
শেষ গোলে ব্রাহিম দিয়াজ অবশ্য পরিচয় দিয়েছেন সতীর্থের প্রতি ভালবাসার, নিজে গোল করার মত পজিশনে থেকেও স্কয়ার পাসে হ্যাটট্রিক হিরোকে খুঁজে নেন তিনি। তাতেই পূর্ণতা পায় ব্রাজিলিয়ান তারকার দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স।
শুধু গোল নয়, সতীর্থদের জন্য সুযোগ তৈরি কিংবা দর্শকদের জন্য ড্রিবলিংয়ে আনন্দ তৈরি সবই করেছেন তিনি। সবমিলিয়ে সাতটা সফল ড্রিবলিং ছিল তাঁর, ডুয়েল জিতেছেন তেরোটা – ভিনিসিয়াস ইজ এ টোটাল মনস্টার নাউ। ব্যালন ডি অর না জিতলেও কথাটা নিয়ে সংশয় জাগে না এক বিন্দু, অন্তত এখন থেকে আর নয়।
