আই জাস্ট ওয়ান্ট টু প্লে – কি নিরীহ, নিষ্পাপ স্বীকারোক্তি ভিনিসিয়াস জুনিয়রের। খেলার বাইরে তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে যতবারই সমালোচনা হয়েছে ততবারই এমন বক্তব্যকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন তিনি। অথচ মাঠে গেলেই যেন সবকিছু আবার ভুলে যান এই ফুটবলার, অহেতুক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন – কখনো রেফারি, কখনো আবার প্রতিপক্ষের সঙ্গে।
এইতো ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে তিনি যা করলেন সেটার বোধহয় কোন ব্যাখ্যা নেই। অফ দ্য বল থাকা অবস্থায় তাঁকে পিঠে হাত দিয়ে কিছু একটা বলেছিলেন দিমিত্রিয়েভস্কি। তাতেই এই গোলরক্ষকের ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে বসেন।
স্বাভাবিকভাবেই লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য হয়েছেন রেফারি; শুধু এ একটা ঘটনাই নয়, মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন ঝামেলা পাকিয়েছেন এই লেফট উইঙ্গার। পান থেকে চুন খসলেই হতাশা ঝেড়েছেন রেফারি আর প্রতিপক্ষের ওপর।
লা লিগায় মাত্র সতেরো ম্যাচ খেলেই পাঁচটা হলুদ কার্ড তো আর এমনি এমনি পাননি ভিনি। প্রতিনিয়ত একই কাজ করে চলছেন, নিজেকে শুধরানো তো দূরে থাক, উল্টো এসব করে সম্ভবত গর্ব খুঁজে পান তিনি।
তিনি বিশ্বসেরা ফুটবলার, তাঁর পায়ের জাদু দেখার অপেক্ষায় থাকে পুরো ফুটবল বিশ্ব – কথাগুলো সত্য। কিন্তু জাদু দেখতে গিয়ে যদি বারবার শৃঙ্খলাভঙ্গের উদাহরণ দেখতে হয় তাহলে কার না রাগ উঠবে। ক্লাব কর্তৃপক্ষও নিশ্চয়ই রাগ হবে তাঁর ওপর; ডিফেন্ডাররাও এত সহজে কার্ড হজম করেন না। কিন্তু তাঁর কাছে সেটা যেন দুধ-ভাত।
ভিনিসিয়াস চান ব্যালন ডি’অরে তাঁকে যেন ভোট দেয় সবাই, সেভাবে পারফর্ম করলে ভোটও পাওয়া উচিত অবশ্যই। কিন্তু ভোটাররাও যেহেতু মানুষ, খেলার বাইরে তিনি কি করছেন সেটার একটা প্রভাব থাকবেই। গুড বয় ইমেজ না থাকুক, অন্তত ব্যাড বয় ইমেজ তৈরি করার কোন মানে হয় না।
যদিও এই ব্রাজিলিয়ান দিন দিন ব্যাড বয় হওয়ার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে ব্যালনে ভোট পাওয়া তো দূরে থাক রিয়াল মাদ্রিদে জায়গাই পাবেন না তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের মত ক্লাবে শৃঙ্খলার গুরুত্ব নিশ্চয়ই কাউকে বলে দিতে হবে না।