ওপেনিং জুটির পর সিরাজ তোপে ব্যাঙ্গালুরুর জয়

কুড়ি ওভারের খেলায় যখন ওপেনাররাই ১৬ ওভার পর্যন্ত খেলে যান তখন যেকোনো দলের জন্যই কাজটা পানির মত সহজ হয়ে যায়। টুর্নামেন্টের আগের ম্যাচ গুলোর মতই আবারো ব্যাঙ্গালুরুর জয়ের রাস্তাটা শুরুতেই মসৃণ করে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসিস।

বিরাট-ডু প্লেসির ১৩৭ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপেই জয়ের ভিত পায় ব্যাঙ্গালুরু। এরপর সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে মোহাম্মদ সিরাজের আইপিএল ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২৪ রানের সহজ জয় পায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স।

মোহালিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতই দারুণ সূচনা পায় ব্যাঙ্গালুরু। কোহলি আর ডু প্লেসিস মিলেই খেলে ফেলেন ১৭ তম ওভার পর্যন্ত।

পাঞ্জাবের বোলারদের অসহায় বানিয়ে ব্যাঙ্গালুরুকে বড় স্কোরের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। পাঞ্জাব ব্যাঙ্গালুরুর ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারে কিনা সেটিই একসময় হয়ে দাঁড়ায় বড় প্রশ্ন।

শেষ পর্যন্ত ১৭ তম ওভারের প্রথম বলে হারপ্রিত ব্রার শিকার হন কোহলি। আউট হবার আগে ৪৭ বলে এক ছক্কা ও পাঁচ চারে ৫৯ রান করেন তিনি। এরপরের বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল গোল্ডেন ডাকের শিকার হলে কিছু ছন্দ হারায় ব্যাঙ্গালুরু।

অন্য প্রান্তে বিরাটের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন ডু প্লেসিস। ৫৬ বলে সমান পাঁচটি করে ছক্কা ও চারে ৮৪ রান করেন সাবেক দক্ষিন আফ্রিকান অধিনায়ক। চার উইকেটে ১৭৪ রানে থামে ব্যাঙ্গালুরু।

১৭৫ রানে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাঞ্জাব। বরাবরের মতই ব্যাঙ্গালুরুকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব।

ম্যাথু শর্ট, লিয়াম লিভিংস্টোনরা দ্রুতই ফিরে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে পাঞ্জাব। এক পর্যায়ে ৪৩ রানে চার উইকেটের দল পাঞ্জাব।

তবে এক প্রান্ত আগলে ছিলেন প্রভসিমরান সিং। ওয়েইন পার্নেলের বলে আউট হবার আগে ৩০ বলে চার ছক্কা ও তিন চারে ৪৬ রান করেন তিনি।

শেষ দিকে পাঞ্জাবের উইকেট রক্ষক জিতেশ কিছুটা আশা জাগালেও সেটি যথেষ্ঠ ছিলো না। অন্য প্রান্তে আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারলে আশা জাগিয়েও হারতে হয় পাঞ্জাবকে।

২১ রানে চার উইকেট নিয়ে বল হাতে ব্যাঙ্গালুরুর জয়ের নায়ক মোহাম্মদ সিরাজ। নতুন বলে দুটি আর পুরোনো বলে দুটি উইকেট নিয়ে পাঞ্জাবের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন সিরাজ। সিরাজের বোলিং তোপে ১৫০ রানে শেষ হয় পাঞ্জাবের ইনিংস।

২৪ রানে ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টে তৃতীয় জয় পেলো ব্যাঙ্গালুরু। এ ম্যাচ শেষে ছয় ম্যাচ খেলে সমান তিনটি করে জয় ও হার দুই দলেরই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link