ক্যাচিংয়েও ‘বিরাট’ কোহলি

মিশেল স্টার্ক আর জস হ্যাজলউডের তান্ডবে যখন লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছিল ভারতের ব্যাটিংলাইনআপ; জয়ের আশা যখন মিইয়ে আসছিল ক্রমাগত তখনই দৃশ্যপটে আবির্ভাব ঘটেছিল বিরাট কোহলির। নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে তুলেছেন খাদের কিনারা থেকে , কান্ডারি হয়ে জয়ের পথ চিনিয়ে দিয়েছেন তিনি।

৮৫ রানের ঝকঝকে একটা ইনিংস – পুরো ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। অল্পের জন্য ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কার না পেলেও ম্যাচ জয়ী পারফরম্যান্সই করেছেন এই তারকা। তবে শুধু ব্যাট হাতেই অবদান রেখেছেন তিনি, তেমনটা ভাবার কারণ নেই। ফিল্ডিংয়েও দারুণ চটপটে ছিলেন এ ডানহাতি।

জাসপ্রিত বুমরাহর দ্বিতীয় ওভারের কথা; সেই ওভারের দ্বিতীয় বলটা মিচেল মার্শের ব্যাট ছুঁয়ে উড়ে আসে স্লিপের দিকে। মুহূর্তের মধ্যেই বামদিকে এক্রোবেটিক স্টাইলে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটা মুঠোবন্দি করেন কোহলি। মাটিতে পড়ার সময়ও সুনিপুণভাবে ভারসাম্য রক্ষা করে ক্যাচ সম্পূর্ণ করেন তিনি।

আর তাতেই নতুন এক অর্জন যুক্ত হয় তাঁর ঝুলিতে। ভারতীয়দের মাঝে ফিল্ডার হিসেবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ক্যাচের মালিক বনে যান তিনি। এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসরে ২৮ ম্যাচ খেলে ১৫টি ক্যাচ লুফে নিয়েছেন, যেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪টি ক্যাচ নিয়েছেন কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলে।

এছাড়া সমান বারোটি করে ক্যাচ ধরার রেকর্ড আছে শচীন টেন্ডুলকার এবং কপিল দেবের ক্যারিয়ারে। তবে এসব বড় নামকে ছাপিয়ে সবার ওপরে এখন কিং কোহলি।

ফিটনেসের ক্ষেত্রে কোনদিনই কোন আপস করেন না বিরাট। বর্তমান প্রজন্মের তো বটেই, ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম ফিট খেলোয়াড় তিনি। তাই তো ফিল্ডিংয়ে তাঁর রিফ্লেক্স, দম সবকিছুই ছাড়িয়ে গিয়েছে অন্যদের চেয়ে।

এভাবে চলতে থাকলে কুম্বলে, শচীনদের সাথে আরো দূরত্ব বাড়াতে পারবেন এই ব্যাটার। সবকিছু ঠিক থাকলে বিশ্বকাপে আরো অন্তত আট ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন তিনি, এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে বিশটি ক্যাচ নেয়া কঠিন কোন ব্যাপারই নয় সাবেক ভারতীয় কাপ্তানের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link