এমনিতে মাঠে ‘আগ্রাসন’ এর অন্যতম প্রতীক বিরাট কোহলি। শরীরি ভাষায় প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দেবার মানসিকতা নিয়েই নামেন মাঠে। মাঝে মাঝে কোহলি সমালোচিত হয়েছেন মাঠে অতি উদযাপনের জন্যও। কিন্তু আজ তার উইকেট শিকারের পর বাংলাদেশের উদযাপন ভালো ভাবে নিতে পারেননি ‘কিং কোহলি’।
মিরপুরে টেস্টের তৃতীয় দিনে রীতিমতো একটি ভুলে যাবার মত দিন কাটিয়েছেন বিরাট। দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠে অন্তত তিনটি ক্যাচ ছেড়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ফিল্ডার। এরপর মাত্র ১৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২২ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন সাবেক ভারত অধিনায়ক।
এক ওভার আগেই বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে ব্যাকফুট ডিফেন্স করতে গিয়ে পরাস্থ হন বিরাট। আম্পায়ার আউট ঘোষণা করলেও সে যাত্রায় রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় প্যাডে লাগার আগে বল বিরাটের ব্যাট স্পর্শ করেছিল। কিন্তু দুর্দান্ত এক স্পেল করতে থাকা মিরাজের পরের ওভারে আর শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর।
মিরাজের একটি অফ স্পিনিং বল সামনের পায়ের ওপর ভর করে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে যান কোহলি। কিন্তু বল ব্যাটের বাহিরের কানায় লেগে গিয়ে জমা হয় শর্ট লেগ পজিশনে দাঁড়িয়ে থাকা মুমিনুলের হাতে। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ক্লোজিং পজিশন থেকে দুর্দান্ত ক্যাচ নিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক।
ভারতের সবচেয়ে বড় উইকেটটি তুলে নিয়ে বাধভাঙা উল্লাসে মাতে সাকিব, মিরাজরা। ৩৭ রানে ভারতের টপ অর্ডারের ৪ জনকে ফিরিয়ে তখন নিশ্চয়ই জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো বাংলাদেশ। এমন সময় বিরাটের উইকেট পাওয়া বাংলাদেশের উদযাপন একটু বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু আউট হবার পর এমন বাড়াবাড়ি উদযাপন ভালোভাবে নেননি কোহলি। হয়তো, বাংলাদেশের শিবির থেকে এমন কোনো মন্তব্যও আসে যেটাতে রেগে যান কোহলি।
সাজঘরে ফেরার সময় বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের লক্ষ্য করে কিছু একটা বলছিলেন তিনি। তখনই মাঠে উপস্থিত আম্পায়ার এবং বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দেন। রাগন্বিত অবস্থায় সাজঘরের পথ ধরেন কোহলি।
যদিও, কোহলিকে লক্ষ্য করে বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় কিছু বলেছেন কিনা সেটি অবশ্য পরিষ্কার বোঝা যায়নি। তবে বাংলাদেশের অতি উদযাপনই যে কোহলির রাগের কারণ তা বুঝতে অবশ্য সমস্যা হবার কথা নয় কারো।